ঢাকা      সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
শিরোনাম

একপেশে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ফাইনালে কলকাতা

IMG
21 May 2024, 11:54 PM

স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: আবার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন গৌতম গম্ভীর। আইপিএলের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মঙ্গলবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে কার্যত উড়িয়ে দিলো নাইটরা। ৮ উইকেটের জয়। ৩৮ বল বাকি থাকতে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় কেকেআর। মাঠ থেকে গ্যালারি, মাতলো উচ্ছ্বাসে। গ্যালারি থেকে চুম্বন ছুড়ে দিলেন শাহরুখ খান। মাঠে তখন মুচকি হাসি গম্ভীরের মুখে। দলের নিউক্লিয়াস যে তিনিই। গম্ভীর ফিরতেই নাইটরা ফাইনালে। ট্রফির স্বপ্ন দেখা শুরু। পুরোপুরি একপেশে ম্যাচ। কেকেআরের বোলারদের কাছে আত্মসমর্পণ হায়দরাবাদের।

২০২১ সালের পর আবার ট্রফির জন্য লড়বে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেবার চেন্নাইয়ের কাছে হারতে হয়েছিল। কিন্তু আগামী রবিবার ফেভারিট হিসেবেই নামবে কেকেআর। এ নিয়ে মোট চতুর্থবার আইপিএলের ফাইনালে। এর আগে তিনবার ফাইনালে ওঠে নাইটরা। প্লে অফে অষ্টমবার‌‌। তার মধ্যে দু'বার চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে গৌতম গম্ভীরের অধিনায়কত্বে আইপিএল জেতে কেকেআর। এবারও নাইটদের ডাগআউটে জিজি। তবে এবার ভূমিকা বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি। মেন্টর হিসেবে নাইটদের ফাইনালে তুললেন।

এর আগে যেবার এক নম্বরে থেকে প্লে অফে গিয়েছিল কেকেআর, সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও কি সেদিকেই এগোচ্ছেন গম্ভীররা? প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে ১২.৪ ওভারেই ২ উইকেটের বিনিময়ে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় নাইটরা।

মঙ্গলবার রাতে চলতি আইপিএলের সেরা পারফরম্যান্স কেকেআরের। মিচেল স্টার্ক, বরুণ চক্রবর্তীদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সানরাইজার্সের ব্যাটাররা।‌ এদিন লড়াইটা ছিল হায়দরাবাদের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কেকেআরের বোলিংয়ের। তাতে সফল নাইটদের বোলাররা। পাওয়ার প্লের মধ্যে মাত্র ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। ওপেনারদের ব্যর্থতা সানরাইজার্স শিবিরের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। এতদিন ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মার জুটি ৯০ শতাংশ ম্যাচ জেতায়‌। কিন্তু এদিন দ্বিতীয় বলেই হেডকে বোল্ড করেন স্টার্ক। শূন্য রানে ফেরেন অজি ওপেনার। ধাক্কা সামলানোর আগেই ফেরেন ছন্দে থাকা আরেক ব্যাটার অভিষেক। ৩ রান করেন তিনি।

অগ্নিপরীক্ষা ছিল মিডল অর্ডারের। কিন্তু পারেনি। রান পাননি নীতিশ কুমার রেড্ডি (৯), শাহবাজ আহমেদ (০), আব্দুল সামাদ (১৬)। হায়দরাবাদের একমাত্র সফল ব্যাটার রাহুল ত্রিপাঠি। ১টি ছয়, ৭টি চারের সাহায্যে ৩৫ বলে ৫৫ রান করেন। হেনরিচ ক্লাসেনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৬২ রান যোগ করে এই জুটি। কিন্তু বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন প্রোটিয়া ব্যাটার। ২১ বলে ৩২ রান করে আউট হন।
দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। সেই সময় পার্টনারশিপ গড়ে তোলার দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল।

সামাদের ভুলে অহেতুক রান আউট হন ত্রিপাঠি। এটাই টার্নিং পয়েন্ট। পরের দিকে নিজেদের উইকেট ছুড়ে দেয় হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। ১৫তম ওভারে ১২৬ রানে ৯ উইকেট হারায় সানরাইজার্স। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রান যোগ করেন কামিন্স। ৩ উইকেট নেন স্টার্ক। জোড়া উইকেট বরুণের।

রান তাড়া করতে নেমে অনায়াসেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নাইটরা। শুরু থেকেই মারকুটে মেজাজে পাওয়া যায় কেকেআরের নতুন ওপেনিং জুটিকে। প্রথম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করে। ১৪ বলে ২৩ রানে ফেরেন গুরবাজ। এদিন বড় রান পাননি সুনীল নারিন। ১৬ বলে ২১ করে আউট হন। তবে কেকেআরের প্রত্যেক ব্যাটার‌ই‌ রান পায়। দলকে জয়ে পৌঁছে দেন দুই আইয়ার। ভেঙ্কটেশ এবং শ্রেয়াস।‌ দুর্দান্ত ব্যাটিং। তৃতীয় উইকেটে ৪৪ বলে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ। দাপুটে ইনিংস দু'জনের। দু'জনেই অর্ধশতরান পান। ৪টি ছয়, ৫টি চারের সাহায্যে ২৮ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ভেঙ্কটেশ। সমসংখ্যক ছয়, চারে ২৪ বলে ৫৮ রানে নটআউট শ্রেয়াস।‌ চলতি আইপিএলে নাইটদের নেতার দ্বিতীয় অর্ধশতরান। গোটা টুর্নামেন্ট ম্যাড়ম্যাড়ে গেলেও আসল সময় ছন্দে ফিরলেন শ্রেয়াস।‌

তবে হাত কামড়াবেন প্যাট কামিন্স। কেকেআরের নেতাকে ফেরানোর সুযোগ এসেছিল। কিন্তু দু'বার‌ই ক্যাচ ফস্কায়। একবার মিস করেন ক্লাসেন, অন্যবার হেড। তখন শ্রেয়াস ফিরে গেলে হয়তো কিছুটা চাপে পড়তো নাইটরা। কিন্তু ভাগ্য সবসময় সাহসীদের সঙ্গ দেয়। ন্যায্য দল হিসেবেই ফাইনালে কেকেআর। চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলছে গম্ভীরের দল। কাপ এবং ঠোঁটের মধ্যে আর বেশি দূরত্ব নেই।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন