হৃদয় মাহমুদ, বাংলাদেশ গ্লোবাল: 'টেকসই উন্নয়ন - সমৃদ্ধ দেশ নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে 'জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১' পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে চতুর্থবারের মতো পালিত হলো এই দিবস।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খাদ্য মন্ত্রণালযয়ের অধীন 'বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ'। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু একটি টেকসই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি খাদ্যের পুষ্টিমান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন হয়েছে এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সংস্থাটি বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। যেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে একসময় দেশের মানুষ উন্নত দেশগুলোর ন্যায় খাদ্য সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। এখন প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য। দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না হলে চিকিৎসা খরচ ও দরিদ্রতা বাড়বে। আর খাদ্য নিরাপদ হলে রফতানির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিভিন্ন ল্যাবরেটরি ও গবেষণা বিস্তারের মাধ্যমে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।