নিবির সাহা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: একুশে পদক (মরণোত্তর) পেয়েছেন ভাষা সৈনিক এম শামসুল হক। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাঁকে এ পদকে ভূষিত করা হয়। বাবার পক্ষে একুশে পদক গ্রহণ করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
চলতি বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন এবং সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজনসহ মোট ১৭ জনকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের মাধ্যমে দেশের কৃতি সন্তানদের হাতে এসব পদক তুলে দেন।
ময়মনসিংহের সন্তান এম শামসুল হক ফুলপুরবাসীর গর্ব ও প্রেরণার উৎস। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহচর ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহে মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।
বাহান্নের ভাষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহে বিশাল মিছিল নিয়ে বের হওয়ায় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের হাতে গ্রেফতার হন শামসুল হক। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্কুল, কলেজে মিছিল-মিটিং, পথসভা, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণসহ নানামুখী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি।
শামসুল হক ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছয় দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ময়মনসিংহ-১৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৮৬ সালে তৃতীয়, ১৯৯১ সালে পঞ্চম এবং ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।