মোঃ ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী, বাংলাদেশ গ্লোবাল: রাজবাড়ীর পাংশার হাবাসপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর অংশে পদ্মা নদীর ধুধু বালির চর যাত্রী ও পথচারীরা পাড় হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে। বালির কারণে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারচ্ছে না তাই স্থানীয়রা বেচে নিয়েছে ঘোড়ার গাড়ী।ঘোড়ার গাড়ী তাদের একমাত্র ভরসা।
হাবাসপুরবাসীরা জানান, বৈরী আবহাওয়া এবং পরিবেশ গত কারনে এবারে হাবাসপুরের পদ্মা নদী খেওয়া ঘাট থেকে পাংশার অংশ পর্যন্ত পদ্মা নদীতে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথে বালির চর পড়ে গেছে তার জন্য যাত্রীদের এতো ভোগান্তি। তবে উত্তরে পাবনা জেলার সাত বাড়ীয়া উপজেলা অংশে পদ্মা নদীর গতিপথ সচল আছে।
জানা যায়, পাবনা জেলার সাত বাড়ীয়া খেওয়া ঘাট থেকে সাত বাড়ীয়া পর্যন্ত যাত্রীরা নৌকায় নদী পাড় হওয়ার পর পরই তাদেরকে ঘোড়ার গাড়ীতে করে ধুধু বালির চর পাড়ি দিয়ে হাবাসপুর খেওয়া পর্যন্ত আসতে হয়। উত্তপ্ত এই বালি পথে ভ্যান রিকশা ইজিবাইক এবং অন্য কোন পরিবহন চলাচল না করায় যাত্রীদের আসা যাওয়ার একমাত্র প্রধান পরিবহন ঘোড়ার গাড়ী। তাও আবার দুই কিলোমিটার পথ যাত্রী প্রতি গুনতে হয় ৩০ টাকা। অনেক যাত্রীর ঘোড়ার গাড়ী ভাড়ার টাকা না থাকায় শিশু এবং ব্যাগ নিয়ে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায় এবং দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা ঘোড়া গাড়ীতে পদ্মা নদীর ধুধু বালির চর পাড় হতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বালির কারণে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ী। এলাকার মানুষ হঠাৎ করে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য দ্রুত সময়ে হাসপাতালে যাওয়া যায় না।এটা নিয়ে আমারা অনেক কষ্টের মধ্য রয়েছি।
বাংলাদেশ গ্লোবাল ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সাম্প্রতিক খবর জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ