ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার রুলিংয়ে আদালত এই নির্দেশ দেয়।
ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ডিসেম্বরে এই মামলা দায়ের করে। মামলার রুলিংয়ে আদালত ইসরাইলকে অবশ্যই গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে, তবে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলেনি।
এদিকে, আদালতের এই রুলিংয়ের পর হামাসের অন্যতম মুখপাত্র সামি আবু জহুরি একে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের এই রুলিংয়ের কারণে ইসরাইল আরও বেশি এক ঘরে হয়ে পড়বে এবং তারা যে অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে তা উন্মোচিত হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জুহরি বলেন, আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের এখন বাধ্য করতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই মামলা দায়ের করলে ইসরাইল মামলা ঠেকানোর জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক চেষ্টা চালায়। এছাড়া তারা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে। মামলার রুলিংয়ে আদালত বলেছে, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার আর্জির সাথে একমত এবং এই মামলা করার এখতিয়ার তাদের রয়েছে।
আদালত আরও বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা যে অভিযোগ করেছে, গণহত্যা কনভেনশন অনুযায়ী তার অনেক কিছুই গাজায় ঘটছে। কিন্তু আদালত দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের সাথে একমত হয়ে ইসরাইলকে সরাসরি গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দেয়নি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা শুরু করে। ইসরাইলের আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এছাড়া বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন যাদের ব্যাপারে ধারণা করা হচ্ছে- ধ্বসে পড়া বিভিন্ন ভবনের নিচেই তারা চাপা পড়ে মারা গেছেন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com