ঢাকা      সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

ইসরাইল-হামাস অস্ত্রবিরতি সম্পর্কে কাতারের ‘সতর্কিত আশাবাদ’

IMG
20 March 2024, 10:02 AM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: 'গাজায় যুদ্ধের ব্যাপারে ইসরাইল ও হামাস নতুন অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছাতে পারবে এবং জঙ্গিদের কাছে আটক আরও পণবন্দীকে মুক্ত করতে পারবে।' মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন মুখপাত্র এ ব্যাপারে ‘সতর্কিত আশাবাদ’ প্রকাশ করেছেন। দোহায় আলোচনা শেষে মাজেদ আল আনসারি এই অনুকুল মূল্যায়ন করেন। তবে আনসারি বলেন, 'এখনও সাফল্য ঘোষণার সময় আসেনি।' এই আলোচনায় ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড বার্নিয়াও যোগ দেন।

ছয় সপ্তাহের জন্য অস্ত্র বিরতি বিবেচনা করা হচ্ছে। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই লড়াইয়ে এটি হবে সম্ভাব্য দ্বিতীয় অস্ত্রবিরতি। প্রথমটি হয়েছিল নভেম্বর মাসে, এক সপ্তাহের জন্য। এই সংঘাতে বিরতি হলে এখনও হামাসের হাতে ১০০’র মতো পণবন্দীর মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে মুক্ত করা যাবে। আর এর পরিবর্তে ইসরাইলে কারাবন্দি কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করা হবে। আর এর ফলে ইসরাইল গাজায় আরও খাদ্য ও মানবিক ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে পারবে।

একজন হামাস কর্মকর্তা বলেছেন, এই প্রস্তাবিত চুক্তিতে ইসরাইলি বাহিনীকে ‘ সকল শহর ও জন অধ্যূষিত এলাকা’ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্তারিত বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এবং এই আলোচনা শেষ হতে বেশ কিছুদিন, এমনকি সপ্তাহ দুয়েক সময়ও লাগতে পারে। ইতোমধ্যে কোন কারণ ছাড়াই এই আলোচনার সময়সীমা কয়েক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে, তবে কোন নিস্পত্তি হয়নি।

এ দিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহু সাম্প্রতিক দিনগুলিতে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে, রাফাহতে তিনি তাঁর পরিকল্পিত আক্রমণ নিয়ে এগিয়ে যাবেন। গাজা-মিশর সীমান্তবর্তী এই শহরটি থেকে ইসরাইল আরও হামাস জঙ্গিকে উৎখাত করতে চায়।

একই সঙ্গে ইসরাইলের এই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই অনুরোধে রাজি হয়েছেন যে, আগামী সপ্তাহের শুরুতে তারা একটি ইসরাইলি প্রতিনিধি দলকে ওয়াশিংটনে পাঠাবেন। রাফাহতে কোন আক্রমণ ছাড়াই এবং ঐ অঞ্চলে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির সুরক্ষা নিশ্চিত করে ইসরাইল কিভাবে তার সামরিক লক্ষ্য অর্জন করবে, সে নিয়েই এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হবে।

হামাসের হামলায় গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হয়। ওই হামলায় ইসরাইলে ১ হাজার ২০০ লোক নিহত হয় এবং হামাস ২৫০ জনকে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। আর গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় ইসরাইলের পাল্টা হামলায় প্রায় ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয় যাদের দুই-তৃতীয়াংশই ছিল নারী ও শিশু। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হাজার হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন