ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান : ফখরুল
ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: দেশের অর্থনীতি, মানুষের ভোটাধিকার, স্বাধীনতা ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের বাঁচানোর জন্য সবাইকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশ ও দেশের গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকার সরে যেতে বাধ্য হবে।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁয় গণফোরাম (মন্টু)-বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান ফখরুল।
গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টিসহ রাজপথে আন্দোলনরত দলগুলোকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের দুঃসময়ে অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা সোচ্চার ছিলেন। আমরা যখন কারাগারে ছিলাম, সমস্ত দলগুলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছিলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সেই লড়াই জাতি সবসময় স্মরণ রাখবে। জনগণকে আরও ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণই আমাদের একমাত্র হাতিয়ার।
সভাপতির বক্তব্যে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আহবানের সাথে ঐকমত্য পোষণ করছি। আমরা যৌবনে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচার হটিয়েছি, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। আজকে সময় এসেছে তারুণ্যের শক্তিতে সমগ্র দেশবাসিকে ঐক্যবদ্ধ করে ‘যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার’-এই স্লোগানকে ধারণ করে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার, সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করার।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, যুগ্মমহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার (একাংশ) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহবায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট এম.এ. আজিজ, গণঅধিকার পরিষদের অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার অপরাংশের সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির এমএ বাসার, মো. ফরিদ উদ্দিন, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার (একাংশ) অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ ন্যাপের একাংশের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক ইসমাইল সম্রাট, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, গণফোরামের একাংশের সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হাসান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার, গণফোরাম যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সানজিদ রহমান শুভ, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির যুগ্মমহাসচিব জসিম সরদার, গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম রুপু, হাবিবুর রহমান বুলু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পেশাজীবী ও সমাজকর্মীবৃন্দ।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এইচএম
