বান্দরবান, বাংলাদেশ গ্লোবাল: তিন ব্যাংক লুটের পর এবার বান্দরবানের থানচি থানায় আক্রমণ করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি চলে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা রাত সাড়ে নয়টায় সাংবাদিকদের জানান, থানচি থানার দক্ষিণ পূর্ব পাশের পাহাড় থেকে কে বা কারা গুলি ছুড়তে থাকে। থানা থেকে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
তিনি আরও বলেন, ‘থানায় পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য রয়েছে। দুপুরে থানা পরিদর্শনের পর আমি অতিরিক্ত ফোর্স সেখানে মোতায়েন করি। আমাদের পুলিশ সদস্যরা ভালো রয়েছে। কিছুক্ষণ পর থেমে থেমে থানা লক্ষ্য করে গুলি করা হচ্ছে।’
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন রাত ১০টার দিকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গোলাগুলি হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এজন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’ মোট কতো রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো গণনা করা হয়নি, তবে ৪০০ থেকে ৫০০ রাউন্ড হবে।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। স্থানীয়দের ধারণা, সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ২ শতাধিক নারী ও পুরুষ পোশাকধারীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। রাত সাড়ে ৯টার পর গোলাগুলি কমে আসে।
থানচিতে গোলাগুলি শুরুর আগে অপহৃত রুমার সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব। গত মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com