ঢাকা      শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
শিরোনাম

শেষ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাদের যৌথ মহড়া ‘টাইগার লাইটনিং

IMG
02 May 2024, 6:33 PM

গাজীপু‌র, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড (USARPAC) এর যৌথ অংশগ্রহণে ‘এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে।আজ বৃহস্প‌তিবার (২ মে) গাজীপু‌রের রাজেন্দ্রপুরের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছি‌লেন ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণে সহযোগী বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অনুশীলন টাইগার লাইটনিং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরো বিস্তৃত করতে সহায়ক হবে।

এছাড়াও, প্রধান অতিথি এই অনুশীলন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিপসট ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড (USARPAC) এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসুয়া লং বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও ধারাবাহিক সাফল্য সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এই অনুশীলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের মান ও পেশাদারিত্ব আমাদের অভিভূত করেছে।

এছাড়াও, সমাপনী অনুষ্ঠানে কমান্ড্যান্ট বিপসট মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

তিনি অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে অনুশীলন সম্পন্ন করায় বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ২০২৪ হতে শুরু হয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত এই অনুশীলনে কমান্ড পোস্ট অনুশীলনের প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর Military Decision Making Process (MDMP) এবং জাতিসংঘে প্রচলিত Military Planning Process (MPP) এর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও, দুই দেশের সেনাবাহিনীর নির্বাচিত সদস্যদের Counter Improvised Explosive Device (CIED) এবং Tactical Combat Casualty Care (TCCC) সংক্রান্ত বিষয়ের উপর যৌথ প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়।

উভয় দেশের বিষয় সম্পর্কিত অভিজ্ঞ (SME) প্রশিক্ষকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে পরিচালিত এ সকল প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অধিকতর সফল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন