ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রায় সব জায়গায় ইসরাইলের বর্বর সেনা এবং ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। প্রচণ্ড ঘনবসতিপূর্ণ রাফাহ শহরে ইসরাইল স্থল আগ্রাসন জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার পর গাজা জুড়ে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করে।
আজ শুক্রবার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতভর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের চারপাশে ভয়াবহ লড়াই হয়েছে। এ সময় ইসরাইলি বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপকভাবে হামলা চালায়। এর পাশাপাশি ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনী কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছের কয়েকটি বাড়িতে গোলাবর্ষণ করে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, জাবালিয়ার একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলার পর সেখান থেকে ছয়জনের মৃতদেহ এবং কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফালুজা স্ট্রিটে অবস্থিত শাবান পরিবারের বাড়ি ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহত লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, জাবালিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েকটি পরিবারের সদস্য বেইত হানুন শহরে আশ্রয় নেয়ার সময় ইসরাইলি সেনারা ট্যাংক দিয়ে শহরটির প্রবেশ পথ ঘিরে ফেলে। ফলে তারা পালিয়ে গিয়েও নিরাপদ আশ্রয় পেতে বাধার মুখে পড়েছে।
গতকাল ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে বাড়তি সেনা পাঠানো হচ্ছে এবং তারা সেখানে আগ্রাসন জোরদার করবে। এছাড়া ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, রাফাহ শহরে আগ্রাসন পরিচালনা তাদের পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com