ঢাকা      শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১
শিরোনাম

কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: শেখ হাসিনা (ভিডিও)

IMG
05 June 2024, 6:32 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষদের নাগালের মধ্যে কমিউনিটিবেজড স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করেছে শেখ হাসিনা সরকার।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদের (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছেন। এটি জনগণ ও সরকারের যৌথ প্রয়াসে বাস্তবায়িত একটি কার্যক্রম। জনমুখী এ কার্যক্রম ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয়, যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৮-২০০১ সময়ে ১০ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত ও অধিকাংশই চালু করা হয় এবং জনগণ সেবা পেতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থা ২০০৮ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় নদীভাঙন ও অন্যান্য কারণে ৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক ধ্বংস হয়ে যায় এবং ১০ হাজার ৬২৪টি বিদ্যমান থাকে।

বিজ্ঞাপন


শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ‘রেভিটালাইজেশন অব কমিউনিটিজ হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি)’ প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরুজ্জীবিতকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সময়ে নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রয়োজনীয় মেরামত, জনবল পদায়ন,ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহপূর্বক নতুন নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়। পরবর্তীতে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চতুর্থ সেক্টর (৪র্থ এইচপিএনএসপি) অপারেশনাল প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় কমিউনিটিবেজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সমস্ত কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সারাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মোট ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে এবং ৯৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামীণ জনগণকে মূলত স্বাস্থ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগ শনাক্তকরণ, সীমিত নিরাময়মূলক সেবাসহ জরুরি ও জটিল রোগীদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ে রেফার সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অসংক্রামক রোগসমূহ প্রাথমিকভাবে নিরূপণ এবং উচ্চতর পর্যায়ে রেফার যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্সেনিকোসিস, অটিজম ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম আরো জোরদার করা এবং একটি কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিশেষ করে প্রসূতি মা- দের গর্ভকালীন পরামর্শ, প্রসবের সময় প্রয়োজনীয় সেবা এবং প্রসব পরবর্তী পরামর্শও সেখান থেকে যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে।



বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন