ঢাকা      শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১
শিরোনাম

খান ইউনিস ত্যাগের ইসরাইলি আদেশের শিকার হাজারো মানুষ: জাতিসংঘ

IMG
03 July 2024, 7:44 AM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: গাজা ভূখন্ডের দক্ষিণাঞ্চলের এক বিরাট সংখ্যক লোককে সেই অঞ্চল ত্যাগের ইসরাইলি আদেশে জাতিসংঘ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ বলছে, এর ফলে হাজার হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সংবাদদাতাদের বলেন, “খান ইউনিস ও রাফার ১১৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালি করার যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তা গাজা ভূখন্ডের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা গত অক্টোবরের আদেশের পর সর্বাধিক সংখ্যক মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার আদেশ। সেই সময়ে সেখানকার অধিবাসীদের গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল।"

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী জাতিসংঘের দপ্তর ইউএনআরডব্লিউএ‘র হিসেব মতো যে সময় এই আদেশ জারি করা হয়, সেই সময়ে সেখানে প্রায় আড়াই লক্ষ লোক হয়তো বাস করতেন। দুজারিক বলেন, ওই সমস্ত এলাকার মানুষ এখন নিজেদের এমন সব এলাকায় পুনর্বাসিত করছে যেখানে “বেছে নেওয়ার কিছু নেই”, সেখানেতো কোন কোন স্থান নেই, নেই কোন পরিষেবা কিংবা সেখানেই থেকে যেতে হবে, যেখানে লড়াই হবে।

তিনি বলেন, নতুন যে স্থানটি ত্যাগ করতে বলা হয়েছে সেখানে ৯০টির ও বেশি স্কুল রয়েছে , যার বেশিরভাগটিতে রয়েছেন বাস্তুচ্যূত লোকজন । ওই অঞ্চলে রয়েছে চারটি চিকিৎসা কেন্দ্রও। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বসাম্প্রতিক নির্দেশ দেওয়ার একদিন পরই ইসরাইল খান ইউনিসের ওপর বোমা হামলা চালায়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরাইলি বসতি লক্ষ্য করে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, খান ইউনিসের এমন একটি এলাকায় রাতভর তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। তাছাড়া, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা শহরেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ইসরাইলি স্থল বাহিনীও গাজার মধ্যাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

ইসরাইল সাধারণত কোন সামরিক অভিযানের আগে গাজার কিছু কিছু অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলে। ইসরাইল বলে, এর উদ্দেশ্যে হচ্ছে যুদ্ধ থেকে অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদান। এই স্থান ত্যাগ এবং লড়াই সব মিলিয়ে জনগণকে নিরাপত্তার জন্য বহুবার পালাতে হয়েছে।

ওই খালি করা অঞ্চলে বসবাসকারী আহমাদ নাজ্জার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, “ ওই স্থান খালি করার আদেশের পর জনগণের মনে আশংকা এবং প্রচন্ড দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে”। তিনি দেখছেন “ বিশাল সংখ্যক লোকজন স্থানচ্যূত হচ্ছেন”।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/একে

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন