ঢাকা      শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪, ১ আষাঢ় ১৪৩১
শিরোনাম

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার তারিখ ঘোষণা আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেনের

IMG
22 May 2024, 11:17 PM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অর্জনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন বুধবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের সবচেয়ে খারাপ মাত্রায় রয়েছে। গাজার যুদ্ধ বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এটা এখন স্পষ্ট যে, ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের বিকল্প নেই।

নরওয়ে বলেছে, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বিশ্ব সংস্থায় যোগদানের যোগ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে এই মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি বড় আকারের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, “শান্তি, ন্যায়বিচার ও সংহতি'র জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “কথাকে কাজে পরিণত করার সময় এসেছে এখন।” আগামী ২৮ মে থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কার্যকর হবে বলে দেশ তিনটি জানিয়েছে।

এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ তৎক্ষণাৎ ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতদের আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হামাস ও ইরানের জন্য পুরস্কার স্বরূপ। এটি ইসরাইলে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহতদের “স্মৃতির প্রতি অবিচার। ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ এবং নিরাপত্তা বিপন্ন করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইল সরব থাকবে।"

এদিকে, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, আয়ারল্যান্ড দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরাইলকে তাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিতে বসবাসের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করে অন্যান্য জাতির কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টির গুরুত্ব নিয়ে ইঙ্গিত করেন।

নরওয়ে ফিলিস্তিনের নেতৃত্বে পশ্চিম তীরের কিছু অংশের দায়িত্বে থাকা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কথাই উল্লেখ করে দেশটির স্বীকৃতির বিষয়টি দেখছে।

এদিকে, নিরাপত্তাহীনতার কারণে ও সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাবার কারণে রাফায় খাদ্য বিতরণ স্থগিত করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, রাফায় চলমান সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ'র বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। প্রায়, ১১ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে। ডব্লিউএফপির এক মুখপাত্র আবির ইতেফা সতর্ক করে বলেছেন, এখনই প্রচুর খাদ্য ও অন্যান্য সরবরাহ গাজায় প্রবেশ না করলে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন