ঢাকা      শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
শিরোনাম

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

IMG
12 May 2024, 8:05 PM

কুমিল্লা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলোচিত জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার রায়ে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের মধ্যে মো. আলী হোসেন প্রকাশ মির্জা নামের এক আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর ৮ আসামী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের সকলেই পলাতক রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া এ মামলায় পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, একই উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও মো. আমির হোসেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন। মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল, আজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন সোহেল, আতিকুর রহমান নান্টু ও ইউসুফ হারুন মামুন।

এছাড়াও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া রাস্তার মাথা এলাকায় আজিজুল হক বাচ্চু খোন্দকারের নির্মাণাধীন বিল্ডিং ঘরে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি জামাল উদ্দিন প্রকাশ বাক্কা জামালকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা ওই সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সাথে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে তুচ্ছ ঘটনায় জামালের ওপর হামলা করা হয়। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।

মামলার পর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত আটটায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন নিজ বাড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে সড়কের উপরে চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামীরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত সাপেক্ষে একই বছর ১৯ সেপ্টেম্বর ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দেয় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। আদালতে সেই মামলার রায় দিয়েছে আজ।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বলেন, ‘মামলায় ২০ জনের স্বাক্ষ গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় নয় জনের মৃত্যুদণ্ড, নয় জনের যাবজ্জীবন ও পাঁচজনকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। রায় দেয়ার সময় একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও দুইজন খালাসপাপ্ত আসামী উপস্থিত ছিলেন। বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন