বরগুনা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়াদের একজন সীমা আক্তার। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ছোট পোটকাখালী গ্রামের এই বাসিন্দার ঘরে পানি উঠেছে কোমর সমান। তাই প্রাণে বাঁচতে রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কোনরকমে ছুটে এসে আশ্রয় নিয়েছেন পোটকাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে।
তিনি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকলেও তার মন পড়ে রয়েছে বাড়িতে। জলোচ্ছ্বাসে তার ঘর ভাসিয়ে নেয়ার শঙ্কায় ছটফট করছেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পানির তীব্র স্রোত উপেক্ষা করে কোনরকমে আমি আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। ঘরে সব মালামাল পড়ে রয়েছে। পানির যে চাপ দেখেছি - তাতে বাড়ি গিয়ে আমাদের ঘর আর খুঁজে পাই কিনা সন্দেহ আছে। তাই দুশ্চিন্তায় আছি। সিডরের পর এমন ঘূর্ণিঝড় আমি আর দেখিনি। আমাদের এদিকে এতোবড় ঝড় আর হয়নি।’
এদিকে, জলোচ্ছ্বাসে বরগুনা সদর, আমতলী এবং পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে বরগুনা জেলা শহর।
বরগুনা শহরের ফার্মেসি পট্টি রোডের বাসিন্দা মাহফুজ বলেন, পুরো শহর প্রায় চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের ঘরে দুই ফুট পানি উঠেছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দোকানের মালামাল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। সিডরের পর এই আবার শহরে পানি ঢুকে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হলো।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com