ঢাকা      শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম

কাঁচা দুধ খেলে কী হয় শরীরে?

IMG
26 May 2024, 8:45 PM

লাইফস্টাইল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: সম্প্রতি কাঁচা দুধ সবার মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, কাঁচা দুধে অনেক বেশি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডিস, প্রোটিন এবং ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই এ দুধ বেশি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু। কিন্তু অনেকের দেহে দুধের ল্যাকটোজ সহ্য হয় না এবং অ্যালার্জি হয়।

আদৌ কি কাঁচা দুধ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী? নাকি এই দুধ পান করলে শরীরে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে? এ বিষয়ে জানালেন ভারতের পুষ্টিবিদ শর্মিষ্ঠা রায়।

এক কাপ দুধ থেকে ১৪৯ ক্যালোরি, ৮ গ্রাম প্রোটিন এবং ৮ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে দুধ হল ভিটামিন এ, ডি, ই, কে, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম সহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার।

এমনকী দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও রয়েছে। তাই পেশি থেকে হাড়, দেহের একাধিক অঙ্গের হাল ফেরানোর কাজে দুধের জুড়ি মেলা ভার। সুতরাং নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে প্রতিদিন দুধ খেতে ভুলবেন না। এতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

কাঁচা দুধের বিষয়ে শর্মিষ্ঠা জানালেন, অনেকেই মনে করেন যে কাঁচা দুধ খাওয়া বোধহয় শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে বিষয়টা কিন্তু একবারেই তেমন নয়। বরং কাঁচা দুধ খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কারণ গরু বা মহিষের দুধ কাঁচা অবস্থায় খেলে নানা রকমের ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। যে কারণে বমি, ডায়ারিয়া থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, বরং নিয়মিত কাঁচা দুধ খেলে দীর্ঘমেয়াদে আর্থ্রাইটিস, গ্যাসট্রাইটিসের মতো জটিল রোগের খপ্পরেও পড়তে পারেন। তাই সাবধান হন এখন থেকেই।

কাঁচা দুধ খেলে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমে। তাই অনেক স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞ এই রোগে ভুক্তভোগীদের কাঁচা দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এখানে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থেকে বাঁচতে গিয়ে যদি কাঁচা দুধ খান, তাহলে একাধিক ব্যাকটেরিয়ার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। এমনকী দীর্ঘমেয়াদে আরও বিপদের মুখে পড়বেন। তাই আপনারা কাঁচা দুধ না খেয়ে বরং আমন্ড মিল্ক খান। এতেই কিন্তু বিপদ এড়িয়ে উপকার পাবেন হাতেনাতে।

সুস্থ-সবল থাকতে দুধ ফুটিয়ে খাওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই কাজটা করলেই দুধে থাকা একাধিক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হবে না। তাই তো ফোটানো দুধ খাওয়ার পর বিপদের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। এদিকে ফোটানোর ফলে দুধের পুষ্টিগুণও খুব একটা কমে না। তাই যখনই দুধ খান না কেন, ফুটিয়েই খান। তাহলেই উপকার মিলবে।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/এমএস

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন