ঢাকা      শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১
শিরোনাম

জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তা জরুরী: পরিবেশ মন্ত্রী

IMG
01 June 2024, 2:29 PM

সাভার, বাংলাদেশ গ্লোবাল: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৮৭৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, দেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০৫০ সালের মধ্যে অভিযোজনের জন্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান বাস্তবায়নের জন্য ১৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর জন্য চিহ্নিত অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য ৪৭১.৭২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করেছে।

আজ সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এক্সেস এন্ড মোবিলাইজেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধুমাত্র একটি পরিবেশগত বিষয় নয়, এটি একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং উন্নয়নমূলক বিষয়, যা আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহ আমাদের নিম্ন-কার্বন, জলবায়ু-সহনশীল অর্থনীতিতে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আমাদের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে এবং জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার কার্যকর করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

সাবের চৌধুরী বলেন, উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করার নৈতিক এবং আইনগত দায়িত্ব রয়েছে। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের তাদের প্রতিশ্রুতি সম্মান করা এবং পূর্বানুমেয়, পর্যাপ্ত এবং প্রবেশযোগ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, আমাদের সবুজ বন্ড, জলবায়ু বীমা এবং পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের মতো উদ্ভাবনী অর্থায়নের উৎসগুলোও খুঁজে বের করতে হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, সুইডেন দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতার উপ-প্রধান নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, ডেপুটি ব্রিটিশ হাই কমিশনার এবং উন্নয়ন পরিচালক ম্যাট ক্যানেল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টেফান লিলার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন