কুমিল্লা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় প্রায় ১১ বছর আগে ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মো. রফিক মিয়া, দেবিদ্বার উপজেলার মাধবপুর এলাকার নাজমুল শিকদার, একই উপজেলার ভিংলাবাড়ি এলাকার মান্নান মিয়া ও সুমন মিয়া।
রায় ঘোষণার পর ফারুকের বাবা মোস্তফা বলেন, ‘পুলিশের তদন্তে না বেরুলে বিশ্বাসই করতে পারতাম না পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ১১ বছর পর ছেলে হত্যার রায় হলো। এখন আমার একটাই দাবি যেন দ্রুত রায় কার্যকর করা হয়।’
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কম্পানিগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ।
৭ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি বালুর মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ফারুকের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, ফারুকের কাছ থেকে তার চাচাতো ভাই রফিক মিয়া প্রায় তিন লাখ টাকা ধার নেন। সময়মতো দিতে না পারায় ফারুক প্রায়ই তাকে তাগাদা দিতেন।
একদিন ভগ্নিপতি মান্নানের সামনে টাকা চাওয়ায় আরো ক্ষিপ্ত হন রফিক। এর পরই ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তাকে হত্যার জন্য নাজমুল সিকদার নামে একজনকে ভাড়া করা হয়। টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে একটি মাঠে ফারুককে হত্যা করে লাশ বালুচাপা দেওয়া হয়। পরে মান্নানকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানে পুলিশ।
পরে মান্নানের দেওয়ায় ১৬৪ ধারার জবানবন্দি অনুযায়ি বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com