ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ‘সার্কভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের নতুন শিক্ষাক্রম অনুসরণের চেষ্টা করছে। এমনকি ভারতে পাইলটিং হচ্ছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এমন রূপান্তর ঘটানো ছাড়া বিকল্প ছিল না।’
নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নে এমনটাই জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই দাবি করেন।
মাউশি মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশের নতুন কারিকুলামের শিক্ষাব্যবস্থা অন্যান্য সার্কভুক্ত দেশগুলো ফলোআপ করার চেষ্টা করছে। নতুন কারিকুলাম নিয়ে আমরা যে কাজটা শুরু করেছি, ভারতেও তা পাইলটিং হচ্ছে। হয়তোবা তাঁরাও (ভারত) ১-২ বছরের ভেতরে এই শিক্ষাটা নিয়ে আসবে। তবে একটা আশার কথা হলো, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমরাই প্রথম শুরু করেছি।’
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে আমাদের এমন রূপান্তর ঘটানো ছাড়া বিকল্প ছিল না। কিন্তু নতুন কারিকুলাম নিয়ে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার অভিভাবকদের মিসলিড করে। কারণ কোচিংয়ের বই ও গাইডের একটা বিশাল মার্কেট আছে। আমরা মোটামুটি খবর পেয়েছি তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে তাঁরা পুঁজি খাটিয়েছে। এত টাকা খাটিয়েছে আর এখন তাঁদের বই, কোচিং চলবে না, স্বাভাবিকভাবে এদের একটা বিশাল গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপটাই আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নেবে।’ ফলে নতুন কারিকুলাম নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও মনে করেন তিনি।
এসময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এমএন
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com
