ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতা, হতাহতের ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধি বাড়ানো হয়েছে। এক সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিশনে আরো দুই সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, ‘সরকার, Commissions of Inquiry Act, 1956 (Act No. VI of 1956) এর section 3 এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, গত ১৬ জুলাই হতে ২১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা-সংস্কার আন্দোলনের নামে সংঘটিত ঘটনায় মৃত্যু, সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা তদন্তের জন্য নিম্নবর্ণিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করল।’
তদন্ত কমিশনের সভাপতি হয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। আগে তিনি একক সদস্য ছিলেন। নতুন বাকি দুই সদস্য হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী।
‘কমিশনের কার্যপরিধি হলো, গত ১৬ জুলাই হতে ২১ জুলাই পর্যন্ত সময়ে নিহত ব্যক্তিদের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন ও তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করা।
গত ১৬ জুলাই হতে ২১ জুলাই পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিতকরণ; এবং গত ১৬ জুলাই হতে ২১ জুলাই পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান, সরকারি কম্পানি, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও করপোরেশন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ।’
‘কমিশন Commissions of Inquiry Act, 1956 অনুসারে তদন্তকার্য সম্পন্ন করে আগামী ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবে।’
‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে ও কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে এবং কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যেকোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করতে পারিব।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com