ঢাকা      মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

রিমান্ড শেষে কারাগারে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ

IMG
07 September 2024, 4:09 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিএনপিকর্মী হৃদয় আহম্মেদ হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শনিবারঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতের বাড্ডা থানার সহকারী জিআরও এসএম জহিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিন রিমান্ড শেষে তাজে আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর মামলা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাদেক।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে নিবিড়ভাবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছে থেকে মামলার ঘটনার বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ওইসব তথ্যসহ আসামির নাম-ঠিকানা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে যাচাইয়ে প্রক্রিয়াধীন।


আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক ও মামলার তদন্তে বিঘ্ন ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। পরে আসামিপক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোরধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির কর্মী হৃদয় আহম্মেদ মারা যায়। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট মাদারীপর জেলার শিবচর উপজেলার বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদ (১৬) বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী একজন বাংলাদেশি নাগরিক। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্র আন্দোলনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাদী হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে ওই ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদ বাড্ডা থানার ব্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এজাহারের অন্য আসামিসহ ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাতনামা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈষম্য আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সব আসামিরা তাদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। তাদের গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী নিহত হয়, অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় ছটফট করতে থাকে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা আন্দোলনবিরোধী শ্লোগান দেয়। আসামিরা এলোপাথারি গুলি করিতে থাকায় বাদী আত্মরক্ষার্থে পাশের গলির এক বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঢুকে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ওই বিল্ডিংয়ে থাকা অবস্থায় বাদী মুহুর্মুহু গুলির শব্দ ও লোকজনের চিৎকারের আওয়াজে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছু সময় পর গুলির আওয়াজ বন্ধ হলে বাদী বাইরে এসে বাদীর সঙ্গী ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদকে খুঁজতে থাকে। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে একপর্যায়ে লোক মুখে জানতে পারে, আসামিদের গুলিতে ও আক্রমণে বহু লোক হতাহত হয়েছেন এবং কিছু লোকদের আফতাবনগর মেইন রোডে অবস্থিত নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। বাদী বিকাল ৪টায় ওই হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম হৃদয় আহম্মেদকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন