ঢাকা      মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি

IMG
07 September 2024, 7:22 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে প্রবাসী অধিকার আন্দোলন। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে প্রবাসীদের ভোটাধিকার পদ্ধতি সহজ ও স্মার্ট করার আহ্বান জানান আলোচকরা। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিশ্বের ১৫৭টি দেশে দেড় কোটির বেশি বাংলাদেশী অবস্থান করছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে মোট ভোটারের শতকরা ১৩ ভাগ বিদেশে থাকে।

২০০৮ সাল থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও জটিল পদ্ধতি ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় প্রবাসীরা ভোট দিতে আগ্রহ দেখাননি। কিন্তু এই অবস্থার পরিবর্তন চায় প্রবাসী অধিকার আন্দোলন। সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক নূরুল মোস্তফা খোকন জানান, অর্থনীতিতে প্রবাসীদের বিপুল অবদান থাকলেও, ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে তারা ভূমিকা রাখতে পারছেন না।

নিবার্চন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১২০টি দেশ তাদের প্রবাসে থাকা জনগণের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের সময় এই বিষয়টিতে জোর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সম্প্রতি দেশে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বিক্ষোভ করে। এতে সেই দেশটির সরকার ৫৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়। পরে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে তাদের ক্ষমা করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটি। এই প্রবাসীদের সে দেশেই কাজের সুযোগ ফিরিয়ে দেয়া আহ্বান জানান বক্তারা।

এসময় প্রবাসে ভোট দেয়ার অধিকারের দাবি আদায়ে ৮ দফা পেশ করা হয়:

১. বিদেশে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স এমনকি বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তাহলে জাতীয় নির্বাচনে কেন প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেনা? বাংলাদেশের অ্যাম্বাসি/কনস্যুলেট অফিসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

২. দেশের অর্থনীতিতে যেহেতু প্রবাসীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে সে কারণে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে কারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবেন সে ব্যাপারে প্রবাসীদের মতামত নিতে হবে।

৩. আমেরিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগের দিন অথবা যে সব দেশে বাংলাদেশের সাথে সময়ের পার্থক্য কম সেই সব দেশে একই দিনে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য খুব বেশি না, তাই এই সব দেশগুলোতে একই দিন ভোট হতে পারে। নির্বাচনের দিন 'পোলিং বুথ' স্থাপন করতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস অফিসে। ভোট দেওয়ার পর দূতাবাস অফিসে সবার সামনে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ভোটগণনা করতে হবে। ভোটের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন প্রিসাইডিং, পোলিং ও রিটার্নিং অফিসার।

৪. বিদেশে কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের নানা ব্যস্ততা থাকায় তারা ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। সেজন্য তাদের জন্য 'অ্যাডভান্সড ভোটিং সিস্টেম' চালু করতে হবে।

৫. বিদেশে পোস্টাল ব্যালট সিস্টেমে ভোট দেয়া দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল প্রক্রিয়া। তাই ভোটদান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে ও সময় বাঁচাতে ডিজিটাল বা অনলাইন ভোটিং সিস্টেম চালু করতে হবে।

৬. 'অনলাইনে পোলিং সিস্টেম' চালু করলেও সেটি যাতে ম্যানুপুলেট বা হ্যাকিং এর শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৭. ভোট দেওয়ার পদ্ধতি স্মার্ট, সহজ ও দ্রুত করতে হবে।

৮. ইলেকশন কমিশনের নির্ধারিত 'অ্যাপস' ডাউনলোড করে নিবন্ধিত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন