ঢাকা      শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: সমন্বয়ক লাবিবকে অব্যাহতি

IMG
19 September 2024, 7:28 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সহিংসতায় (গণপিটুনি) অংশগ্রহণের অভিযোগ থাকায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত আহসান লাবিবকে সমন্বয়কের পদ থেকে অব্যাহতির এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় আহসান লাবিবের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার রাতের ওই গণপিটুনির ভিডিওতে তাকে দেখা গেছে। গণপিটুনির পর রাতে সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শামীম মোল্লা। গণপিটুনির ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের পাঁচজনকে শনাক্ত করা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। ভিডিও ফুটেজে লাঠি হাতে শামীমকে মারতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবকে। এছাড়া লাথি দিতে দেখা গেছে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিককে। এর মধ্যে আহসান লাবিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন সমন্বয়ক। এ ঘটনার পর তাকে সমন্বয়ক পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতি দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে আরেক দফায় গণপিটুনি দেয়৷ একপর্যায়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান উপস্থিত হন। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল এসে শামীম মোল্লাকে আটক দেখিয়ে থানায় নিয়ে যায়।



বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন