ঢাকা      সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তে ইলিশ রপ্তানি, ইমোশনাল কথা বলে লাভ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

IMG
22 September 2024, 7:23 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তেই ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে তা চাঁদপুর ঘাটের একদিনের ইলিশও না। আজ রোববার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। ইলিশ রপ্তানিতে বাণিজ্যিক সুবিধা আছে। ফরেন কারেন্সি আসে। রপ্তানি না করলে চোরাচালান হয়। ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে বাহবা পেয়েছি। রপ্তানিতেও গ্রেটার ইন্টারেস্ট আছে।

তিনি আরো বলেন, পজিটিভলি দেখেন। পেঁয়াজ আসছে না? ওরা ডিউটি কমিয়ে দিয়েছে। ইমোশনাল কথা বলে লাভ নাই। সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। পয়লা বৈশাখ আসার আগ দিয়েও এই মাছে দাম চলে যায় সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। চলতি বছরে এই মাছের দাম কমেনি। সরকার পতনের আগে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। সরকার পতনের পর সেই দাম আরো বেড়েছে।

ভারতে যাচ্ছে তিন হাজার টন ইলিশভারতে যাচ্ছে তিন হাজার টন ইলিশ
ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের: মৎস্য উপদেষ্টাইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের: মৎস্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার পর থেকে বলা হচ্ছিলো, আগে দেশের মানুষের যোগান নিশ্চিত করা হবে। তারপর ভারতে ইলিশি রপ্তানি করা হবে।

সম্প্রতি ভারতের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এক চিঠিতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতে অনুরোধ জানায়।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে স্বীকৃত ইলিশ। টানা পাঁচ বছর ধরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ। যদিও ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ ছিল। ২০১৯ থেকে ভারতে আবার ইলিশ রপ্তানি চালু হয়। প্রায় প্রতিবছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়ে থাকেন ভারতের কলকাতার ব্যবসায়ীরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আগে একাধিকবার বলেছেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে সেটা হতে পারে না।

রোববার সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির সঙ্গে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনও সম্পর্ক নাই। আমি এখনও আমার আগের সিদ্ধান্তেই আছি যে, আগে দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে, পরে রপ্তানি।


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন