ঢাকা      শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম

সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার অচিরেই: আসিফ নজরুল

IMG
29 September 2024, 4:31 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটা সংস্কার প্রয়োজন আছে। শিগগিরই সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমি মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে কাজ করবো। আজ রোববার এনজিওবিষয়ক ব্যুরো কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার: এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভায় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক সাইদুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালক-১ মো. আবু সাইদ প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় তথ্য অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক শাহীন আনাম বলেন, বাংলাদেশে তথ্য অধিকার পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে আছে তা বোঝার জন্য ২০০৫ সালে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জরিপ চালানো হয়। দেশের বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক, আইনবিদ, সংবাদমাধ্যমের কর্মী এবং এনজিওগুলোর সমন্বয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনকে সাচিবিক দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় ‘তথ্য অধিকার ফোরাম’।

তিনি জানান, দেখা গেছে তথ্যের চাহিদা সৃষ্টির ফলে মাঠপর্যায়ে প্রধানত সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী ও সেবাপ্রাপ্তিবিষয়ক তথ্যের আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এবং জাতীয় পর্যায়ে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আবেদন অথবা এ সংক্রান্ত তথ্যের চাহিদা তৈরির বিষয় উপেক্ষিত হচ্ছে। ফলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এই আইনের কাঙ্ক্ষিত সুফল পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তথ্য কমিশন এখন পর্যন্ত সরকার এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে জবাবদিহির আওতায় আনার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় ভূমিকা রাখতে পুরোপুরি সক্ষম হয়নি। তথ্য দেওয়ার আদেশের পরও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকছে, যা তথ্যের চাহিদাকারীকে এই আইনের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে।

তথ্য অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ তুলে ধরা হয় সেগুলো হলো––
১. তথ্য অধিকার ফোরামের ব্যাপ্তি: তথ্য অধিকার ফোরামের কার্যপরিধি পর্যালোচনা করা এবং দেশব্যাপী এর সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রসার করা। এ জন্য সব অংশীজনের অংশগ্রহণে জাতীয় একটি সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা।

২. জনসচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মাঝে তথ্য অধিকার আইনের উদ্দেশ্য এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব কর্তৃপক্ষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলোর সব কার্যক্রমে তথ্য অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৩. দক্ষতা বৃদ্ধি: সরকারি ও এনজিও কর্মকর্তাদের তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান, যা তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ এবং সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক হবে।

৪. ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ: তথ্য অধিকার আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তথ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করতে হবে।

৫. স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা: সরকারি এবং এনজিওসমূহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য আইনের ধারা পরিপালন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষসমূহের স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ ও প্রচার ব্যবস্থাপনার নির্দেশনাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

৬. তথ্য অধিকারসংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি: তথ্য কমিশনকে জনগণের তথ্যের চাহিদার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। পাশাপাশি তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি তদারক এবং অবহেলার জন্য শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭. ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্যপ্রাপ্তি: তথ্যপ্রাপ্তি সহজ করার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম বাস্তবায়ন এবং এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, যার মাধ্যমে জনগণ অনলাইনে তথ্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সহজে তাদের চাহিদামতো তথ্য পেতে পারবেন।


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন