ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: গাজায় ইরান সমর্থিত হামাস গোষ্ঠীর সাথে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের এই মিত্রকে লেবাননের হিজবুল্লাহসহ তেহরানের অন্যান্য সহযোগী গোষ্ঠী এবং ইরানের বিরুদ্ধে সংঘাত ছড়িয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন সেই সময় এসে গেছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বিগত ১০ দিনে ইসরাইল লেবাননে একটি ব্যাপক বিমান অভিযান চালিয়ে হিজবুল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্ট ৩,৬০০ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে, তাদের ভাষায়, “সীমিত আকারে” স্থল অভিযান শুরু করে। গত মঙ্গলবার তেহরান ইসরাইলের উপর ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও পাল্টা হামলা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দামেস্কে মঙ্গলবার ইসরাইলি হামলায় তিনজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। বুধবার সিরিয়ার রাজধানীতে আরও হামলা হয়েছে। জো বাইডেন বলেছেন, তাঁর প্রশাসন ইসরাইলকে “পরামর্শ” দিচ্ছে এবং পাল্টা জবাব যেন সমানুপাতিক হয়। তিনি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন যে, তিনি বিষয়টি নিয়ে জি-সেভেন -এর নেতাদের সাথে আলাপ করেছেন এবং তিনি শিগগিরই নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলতে পারেন।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ইসরাইলিদের সাথে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলবো। কিন্তু আমরা সাতজনই (জি-সেভেন নেতা) একমত যে, ইসরায়েলের জবাব দেয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তাদের উচিত আনুপাতিক হারে জবাব দেয়া।” নেতানিয়াহু ইরানের বাইরেও পাল্টা আঘাত হানার হুমকি দিয়েছেন, যেসব দেশে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী রয়েছে।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, “আমরা এই অশুভ অক্ষর বিরুদ্ধে সব জায়গাতেই লড়াই করি। এটা জুডিয়া এবং সামারিয়ার (পশ্চিম তীর) বেলায় সত্য। এটা গাজা, লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়ার ক্ষেত্রে সত্য। এবং এটা ইরানের ক্ষেত্রেও সত্য।” ইরান অনেক বছর ধরে ইসরাইলে আক্রমণ করতে তার সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করেছে – গাজায় হামাস, লেবাননে হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনে হুথি।
ইরান গত এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মত ইসরাইলে সরাসরি হামলা চালায় – যখন তারা অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন নিক্ষেপ করে। এই হামলা আসে সিরিয়াতে ইরানের কূটনৈতিক ভবনে ইসরাইলের মারাত্মক হামলার দুই সপ্তাহ পর। সেই সময়, ইসরাইলের পাল্টা হামলা ছিল সীমিত এবং অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এমনভাবে করা যাতে উত্তেজনা কমে আসে। তারা বলছেন, ইসরাইল এবার আরও শক্তভাবে জবাব দেবে, হয়তো ইরানের পারমাণবিক বা জ্বালানী স্থাপনা লক্ষ্য করে।
যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বাইডেন বলেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোন ইসরায়েলি আক্রমণ সমর্থন করবেন না। তিনি বলেন, ইরানের উপর জি-সেভেন আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তেহরান বলেছে, তাদের মঙ্গলবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সাম্প্রতিক সময়ে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে বৈরুতে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে তেহরানে এবং একজন ইরানি সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করার জবাবে করা হয়েছিল।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com