ঢাকা      রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

IMG
06 October 2024, 9:01 PM

শেরপুরের নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সদর ও নকলা উপজেলায় অবনতি হয়েছে। সদরের চারটি ও নকলার তিনটিসহ মোট সাতটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের এক কৃষক পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা গেছেন। ঢলের পানির তোড়ে গাজীর খামার-নালিতাবাড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।

সদর উপজেলার ইউএনও মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসায় সদর উপজেরার গাজীর খামার, ধলা, পাকুরিয়া ও লছমণপুর ইউনিয়নের বহু বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে এবং বিপুল পরিমাণ ফসল ও সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। বন্যাক্রান্ত লোকজন গবাদি পশুসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আশ্রয় নেওয়া লোকজন বিপাকে পড়েছেন। এ পর্যন্ত তিন-চারশ’ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

নকলা উপজেলার ইউএনও সৈয়দা তামান্না হুরায়রা জানান, ঢলের পানির প্রবল বেগে নকলা সদর, উরফা ও গণপদ্দী ইউনিয়নের ব্যপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে বাড়িঘর ও ফসলি জমি ডুবে গেছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ইতোমধ্যে ১২শ’ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শ্রীবরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ জানান, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি সব এলাকা থেকে নেমে গেছে। তারা বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলেন, তবে কেউ সেখানে আশ্রয় নেননি। বর্তমানে বন্যাকবলিত স্কুলগুলো থেকে কাদামাটি সরিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, বর্ষণ ও ঢলের পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। তবে নিম্নাঞ্চলের কিছু মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছেন। ত্রাণ বিতরণের কাজ চলছে। তবে তা’ অপ্রতুল। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণের জন্য আবেদন করেছেন।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন