ঢাকা      বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১
শিরোনাম

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে উৎসব করার মতো সমাজ চাই না: প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিও)

IMG
12 October 2024, 5:56 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এমন সমাজ চাই না যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে। এ সরকার এমন বাংলাদেশে গঠন করতে চায় যেখানে সব সম্প্রদায় এবং নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবল্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্গাপূজার আনন্দ এবার বিশেষ আনন্দে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, চারদিনের ছুটি পেয়ে সবাই খুশি। সব জায়গায় নির্বিঘ্নে পূজা করতে পারছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সবাই চেষ্টা করেছেন, কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, বিশৃঙ্খলা যেন না হয়। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সবাই মিলে কাজ করলে যে সফল হওয়া যায় তা প্রমাণ হয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, ‘শুধু সংখ্যালঘু নয়, মুসলমানদের ছেলেমেয়েরাও ঘর থেকে বের হলে বাসায় ফিরবে কিনা সে নিরাপত্তা ছিল না। এমন সমাজ আমরা চাই না। আমরা একটি কাল্পনিক সমাজের কথা বলছি, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে এমন সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ছোটখাটো বিষয়ে আমরা যেন আটকে না থাকি। আপনাদের ছেলেমেয়েরা যেন স্বাভাবিক নাগরিক অধিকার পায়। সত্যিকার অর্থে নতুন বাংলাদেশের পক্ষে থাকুন। আমরা স্বপ্নের রাষ্ট্র গঠন করবো, যেন দুনিয়ার বুকে গর্ব করতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আকাশে উড়তে পারে সেই ব্যবস্থা করবো। বন্দি হয়ে থাকার জন্য আমাদের ছেলেমেয়েরা জন্মগ্রহণ করেনি।’

তিনি বলেন, আমরা অধিকারবঞ্চিত মানুষ ছিলাম। সব অধিকার একটি গোষ্ঠির কাছে ছিল। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এখন সময় এসেছে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার। যে অধিকার কেড়ে নিতে চাইবে তাদের শাস্তি হবে। সবার অধিকার রক্ষায় সংস্কার কমিটিগুলো রূপরেখা দেবে। কিন্তু কমিশনের মাধ্যমে দেশ পাল্টে দেয়া সম্ভব নয়, তবে একটি রূপরেখা তারা দিতে পারবেন। দেশটাকে পাল্টে ফেলার এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।

শনিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার চতুর্থ দিনে মহানবমী উদযাপিত হচ্ছে। সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এদিন সকালে শুরু হয়েছে নবমী পূজা।

মহানবমীর দিন দেবী দুর্গার বিদায়ের সুরে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠবে প্রতিটি মণ্ডপের পরিবেশ। সন্ধ্যায় দেবীদুর্গার ‘মহাআরতি’ করা হয়। নবমীতে বলিদান ও মহানবমী হোমের রীতি রয়েছে। মূলত ‘সন্ধিপূজা’ শেষ হলে শুরু হয় মহানবমী। এছাড়া ১০৮টি নীলপদ্ম দিয়ে পূজা হবে দেবীদুর্গার। পূজা শেষে থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রাণের উৎসবে ভক্তদের মাঝে বইবে বিষাদের সুর।

বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া শারদীয় এ দুর্গোৎসবের শেষ হবে রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন