ঢাকা      বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১
শিরোনাম

বঙ্গভবনের সামনে থমথমে পরিস্থিতি, সতর্ক সেনাবাহিনী-বিজিবি

IMG
23 October 2024, 12:16 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গতরাতে আন্দোলনের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে সামনে। আজ বুধবার সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি দেখা না গেলেও কড়াকড়ি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।

বঙ্গভবনের সামনের বেষ্টনী ভেঙে যাতে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে, তাই নতুন করে বসানো হযেছে তার কাটার বেড়া। সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তেমন কোন জমায়েত দেখা যায়নি।

এর আগে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এসময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিশ্চিতের আশ্বাস দেন হাসনাত-সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এদিন বিকেল থেকেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। এসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়।

একপর্যায়ে গুলিস্তান আউটার স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে পুলিশের একটি বড় দল বঙ্গভবনের সামনে আসার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তাদের পথ আটকায়। তাদের তোপের মুখে পুলিশ পিছু হটলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এসময় হামলার মুখে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অস্ত্র ফেলে চলে যান। পরে আন্দোলনকারীরা অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেন।

বিভিন্ন স্লোগানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করছিলেন আন্দোলনকারীরা। তারা বলেন, রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র নাকি খুঁজেন পান না। যিনি একটি পদত্যাগপত্র সংরক্ষণ করতে পারেন না তিনি দেশকে সংরক্ষণ করতে পারবেন না। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। আমরা জানি কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়। প্রয়োজন হলে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ১২ ঘণ্টাতে নিয়ে আসব।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত চলে যান। সেদিন রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।

রাষ্ট্রপতির ওই বক্তব্যের পর তার অপসারণ বা পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়ে উঠে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাদের দাবিতে আবারো মাঠে নামে তারা। রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যা বলে শপথ ভঙ্গ’ করেছেন মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, তাকে এখনো রাষ্ট্রপতি পদে রাখা যায় কিনা, উপদেষ্টা পরিষদ তা ভেবে দেখতে পারে। পরে বঙ্গভবন থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি মীমাংসিত বলে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।




বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন