ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ভারতের উড়িষ্যায় কারো প্রাণহানি হয়নি। আজ শুক্রবার সকালে দুর্যোগ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এ কথা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। সকালে ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে ঢোকার প্রক্রিয়া (ল্যান্ডফল) শেষ হয়। ‘ল্যান্ডফল’-এর এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারো মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেতে দেবো না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।”
মাঝি জানান, প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে উড়িষ্যার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে অন্তত ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ৬ লাখ মানুষের মধ্যে ছিলেন ৬০০০ সন্তান সম্ভবাও। তাঁদের তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬০০ জন প্রসূতি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষয়-ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮ হাজার ৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল উড়িষ্যার প্রশাসন।
উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়। প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ উড়িষ্যার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় দানা। ভারতীয় সময় রাত দেড়টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ স্থলভাগ অতিক্রম করে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com