ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে কার জয়ের সম্ভাবনা বেশি, তা যাচাইয়ে নিয়মিত জনমত জরিপ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সর্বশেষ সময়ের জরিপে হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে। তারপরও জনমত জরিপগুলোয় কোথাও কোথাও কমলা, আবার কোথাও ট্রাম্প এগিয়ে আছেন।
জাতীয়ভাবে ভোটারদের নিয়ে যেসব জরিপ হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে গড়ে ট্রাম্পের চেয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা। জুলাইয়ে কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। জাতীয়ভাবে যেসব জনমত জরিপ হয়েছে, তার গড় করে দেখা যাচ্ছে, আজ রোববার পর্যন্ত কমলা হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ৪৮ শতাংশের। আর ট্রাম্পের সমর্থন ৪৭ শতাংশ।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচার শুরুর প্রথম সপ্তাহগুলোয় কমলা হ্যারিসের দিকে সমর্থন বেশি ছিল। আগস্টের শেষে দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় চার পয়েন্টে এগিয়ে কমলা।
এর পর থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের শুরুর দিকে পূর্বের অবস্থানই ধরে রেখেছিলেন কমলা হ্যারিস। তবে শেষ কয়েক সপ্তাহে দেখা গেছে, জরিপে কমলার সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবধান কমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গরাজ্য আছে ৫০টি। অতীতের নির্বাচনগুলোয় দেখা গেছে, বেশির ভাগ রাজ্য নির্দিষ্ট কোনো একটি দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন। এসব রাজ্যে নির্দিষ্ট দলের প্রার্থী জয়ী হয়ে থাকেন। এ কারণে যেসব রাজ্যের নির্দিষ্ট দলকে ভোট দেওয়ার ইতিহাস নেই, সেসব রাজ্য ভোটের ফল নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এমন রাজ্য রয়েছে সাতটি, যাদের ‘দোদুল্যমান রাজ্য’ বলা হয়ে থাকে।
দোদুল্যমান সাতটি অঙ্গরাজ্য হলো অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিন। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ভোটারদের নিয়ে করা সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোয় দেখা গেছে, এসব অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে ব্যবধান এতই কম যে কোন প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন, তা বলা মুশকিল। ফলে আন্দাজও করা যাচ্ছে না যে কোন প্রার্থীর পাল্লা ভারী।
ভোটারদের নিয়ে জাতীয়ভাবে যেসব জরিপ হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গড়ে ট্রাম্পের চেয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা। জুলাইয়ে কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হওয়ার পর এই প্রথম ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি।
ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচার শুরুর প্রথম সপ্তাহগুলোয় কমলা হ্যারিসের দিকে সমর্থন বেশি ছিল। আগস্টের শেষে দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৪ পয়েন্টে এগিয়ে কমলা।
এরপর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের শুরুর দিকেও আগের অবস্থান ধরে রেখেছিলেন কমলা হ্যারিস। তবে শেষ কয়েক সপ্তাহে দেখা গেছে, জরিপে কমলার সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবধান কমে আসছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল অনুমানের জন্য জাতীয় জরিপের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করা যায় না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে।
এ পদ্ধতিতে জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জন্য আলাদা ইলেকটোরাল কলেজ ভোট বরাদ্দ থাকে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট আছে ৫৩৮টি। এর মধ্যে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০টি।
এ পদ্ধতিতে কোনো রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, সব ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট তিনিই পাবেন। আর তিনিই বসবেন অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটির মসনদে।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com