ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এতটাই খুশি হন যে তিনি একটি ইহুদি বসতি এলাকার নাম ট্রাম্পের নামে রাখেন।
গোলান মালভূমির পাথুরে খনি এলাকায় ছাড়া ছাড়া কিছু বাড়ি নিয়ে এই বসতি গড়ে উঠেছে। চার সন্তান নিয়ে এলিক গোল্ডবার্গ ও তাঁর স্ত্রী হোদায়া ট্রাম্প হাইটসে বসতি স্থাপন করেছেন। গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর উত্তর ইসরায়েল সীমান্তে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গেও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত তাঁরা দেখে আসছেন।
লেবাননের সঙ্গে উত্তর ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকাটি ট্রাম্প হাইটস থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরে। এলিক বলেন, ‘গত এক বছর ধরে আমাদের সবুজ সুন্দর ভূমির আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। লেবানন থেকে রকেট ছোড়ার দৃশ্য এখন আমাদের জন্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এটি এখন একটি যুদ্ধক্ষেত্র এবং কবে যে এর অবসান ঘটবে জানি না।'
এলিক বলেন, তিনি চান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন সঠিক কাজটিই করবে। অর্থাৎ ইসরায়েলকে সমর্থন জানাবে। এলিকের এমন মতামত ইসরায়েলে অনেকের কাছেই পাওয়া যাবে। আর ট্রাম্প এ ধরনের ভাষা ভালোই বোঝেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। তিনি একাধিক আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে মধ্যস্থতা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে জেরুালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ট্রাম্পের এসব কাজে খুশি হন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি একবার ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে আসা নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা বন্ধু বলে অভিহিত করেন। মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে ইসরায়েলি নেতা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের প্রশংসায় কোনো রাখঢাক করেননি।
বিভিন্ন জরিপ আভাস দিচ্ছে, ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে নেতানিয়াহু একা নন, তাঁর সঙ্গে বহু ইসরায়েলিও রয়েছেন। সাম্প্রতিক জরিপগুলোয় দেখা যায়, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে দেখতে চান। ২০ শতাংশেরও কম ইসরায়েলি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জয় চান।
পশ্চিম তীরের একজন বিশিষ্ট ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ মোস্তফা বারঘৌতি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সামগ্রিক মনোভাব হলো ডেমোক্র্যাটরা খারাপ, কিন্তু ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তা আরো খারাপ হবে। দুজনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো, কমলা হ্যারিস আমেরিকান জনমতের পরিবর্তনের প্রতি আরো সংবেদনশীল হবেন।
গাজা যুদ্ধ সৌদি আরবের মতো মিত্রদের কাছ থেকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। তবে কমলা কিংবা ট্রাম্প কোনো প্রার্থীই তাঁদের তুলে ধরা এজেন্ডায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেননি। এ ব্যাপারে মোস্তফা বারঘৌতি মনে করেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার ইস্যুটি একটি স্লোগান ছাড়া আর কিছুই নয়। সূত্র : বিবিসি
বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com