ঢাকা      বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শিরোনাম

ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে লঞ্চ-ফেরি চলাচল ব্যাহত

IMG
19 November 2024, 11:15 AM

লক্ষ্মীপুর, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ফেরি বিকল ও নাব্যতা সংকটের কারনে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

বিআইডাব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের, ভোলা,বরিশাল,পটুয়াখালী,চট্রগ্রাম ও ঢাকাসহ ২১ জেলার মানুষ লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল এ নৌ-রুট দিয়ে যাতায়াত করছে। বর্তমানে কলমিলতা, সুফিয়া কামাল, কনক চাপা,কিষাণী ও কাবরীসহ ৫টি ফেরি ও ১৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। গত ১৫দিন আগে কনকচাপা নামে ফেরিটি বিকল হলেও এখনো মেরামত হয়নি। মজুচৌধুীরহাট লঞ্চঘাটের এক কিলোমিটার দূরে রহমতখালী চ্যানেল। কিন্তু এ চ্যানেলে জেগে উঠেছে বিশাল এক ডুবোচর। এছাড়া এ নৌ-রুটের বিভিন্ন স্থানে আরো ২০ থেকে ২৫টি নতুন নতুন ডুবোচর জেগে উঠেছে।

এতে করে প্রতিদিন ৪/৮ ঘন্টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহীসহ যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে ফেরি ও লঞ্চ ডুবোচরে আটকে থাকতে হয়। জোয়ার আসলেই নদীতে কিছুটা পানি বাড়ে। এরপর ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। গত ১ মাস ধরে এ সমস্যা সুষ্টি হয়েছে। এতে করে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় এ নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। সঠিক সময়ে গন্তব্যে ফেরি ও লঞ্চ না পৌছাঁয় দু-পাড়ে দিনের পর দিন আটকা পড়ে থাকতে হয় পণ্যবাহী ট্রাক। এ কারনে ট্রাকে কাঁচামাল ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় পণ্যবাহী পরিবহন ও যাত্রীদের।

ভোলার যাত্রী রহিম উদ্দিন ও পরিবহন চালক আবুল হোসেনসহ অনেকেই জানায়, প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং করা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। সঠিক তদারকি না থাকায় এবং ভালোভাবে ড্রেজিং না করার কারনে নতুন নতুন ডুবোচর জেগে উঠছে। এ কারনে ঘন্টার পর ঘন্টা ডুবোচরে আটকা থাকতে হয়। প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ও দুইশর বেশি পণ্যবাহী ট্রাক ও বাস পারাপার হচ্ছে। সীমাহীন কষ্টের মধ্যে দিন পার করতে হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে শুষ্ক মৌসুমে সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তার।

ভোলা বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার মো. আল আমিন বলেন, ‘নাব্য সংকট দিন দিন বাড়ছে। দ্রুত সমাধান করা না গেলে ভোগান্তি বাড়তে থাকবে।’

ডুবোচরের কারণে নৌযান চলাচল ব্যাহত হলেও এর কোনো তথ্য নেই বিআইডব্লিউটিএ-র স্থানীয় কর্মকর্তার কাছে।

ভোলা বিআইডব্লিউটিএ-র সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।’

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে প্রতিদিন ৫টি ফেরিতে আড়াইশ বাস-ট্রাক ও ১৬টি লঞ্চে পাঁচ সহস্রাধিক যাত্রী পারাপার হন।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন