কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ গ্লোবাল: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের তোলা হলে বিচারক শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান ইবি থানার ওসি শেখ ফরিদ উদ্দীন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ আবাসিক হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তারেক সিনিয়র ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইবি থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাব্বির হোসেন, লিমন হোসেন, শেহান শরীফ, কান্ত বড়ুয়া, শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল, জিহাদ এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সঞ্চয় বড়ুয়া।
এর মধ্যে সাব্বির, শেহান শরীফ, শরিফুল, কান্ত বড়ুয়া ও সঞ্চয় বড়ুয়াকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে লালন শাহ হল প্রশাসন। কমিটিতে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনকে আহবায়ক এবং সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম ও হলের আবাসিক শিক্ষক রাসুল করিম। কমিটিকে আগামী রোববারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. আকতার হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ফরিদ উদ্দীন বলেন, মামলার পর পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় লালন শাহ হলের গণরুমে ভুক্তভোগীদের র্যাগিং শুরু করে। পরবর্তীতে রাত ১২টার দিকে হলের অন্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে রাতেই ইবি থানা পুলিশের হেফাজতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীদের একজন দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ পাঁচ জনকে কুষ্টিয়া আদালতে প্রেরণ করে।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com