ঢাকা      রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শিরোনাম

উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করলে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিলেন কিম

IMG
22 November 2024, 10:48 AM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ও উসকানি বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপ কখনও এতটা বিপজ্জনক পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকির মুখে পড়েনি। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ংয়ে একটি সামরিক প্রদর্শনীতে বক্তব্য দেন কিম। সেখানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ববর্তী আলোচনার অভিজ্ঞতা ওয়াশিংটনের ‘আক্রমণাত্মক ও শত্রুতাপূর্ণ’ নীতির বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।

কিম বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধরত পক্ষগুলো কখনও এতটা তীব্র ও বিপজ্জনক সংঘাতের মুখোমুখি হয়নি, যা ধ্বংসাত্মক থার্মোনিউক্লিয়ার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছি। কিন্তু এর ফলাফল থেকে যা নিশ্চিত হয়েছে তা হলো, আমাদের সহাবস্থানের ইচ্ছা নয়, বরং তাদের শক্তি, আক্রমণাত্মক ও শত্রুতাপূর্ণ নীতির দৃঢ় অবস্থান, যা কখনও বদলাবে না।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুর, হ্যানয় ও কোরীয় সীমান্তে কিম ও ট্রাম্প তিনটি ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান এবং উত্তর কোরিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবির মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন যে, তার ও কিমের সম্পর্কের কারণে লাখো মানুষের প্রাণহানি হওয়া একটি পারমাণবিক যুদ্ধ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এখনও ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

কেসিএনএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিম তার বক্তব্যে অস্ত্র উন্নয়নকে ‘অতিযান্ত্রিক’ করার আহ্বান জানান এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও উন্নত করে দেশের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রদর্শনীতে কৌশলগত ও সামরিক অস্ত্র প্রদর্শিত হয়।

কিমের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন উত্তর কোরিয়া ও মস্কোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা চলছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে কিম দেশের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতি উন্নত করার আহ্বান জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের উত্তেজনা ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন এবং কোরীয় উপদ্বীপকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উত্তপ্ত অঞ্চল বলে উল্লেখ করেন।


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এমএন

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন