ঢাকা      বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম

কামরাঙ্গীরচরে ব্যবসায়ী নূর আলম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন; তিনজন গ্রেফতার (ভিডিও)

IMG
11 December 2024, 2:32 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হাসান নগর এলাকার ছাপাখানা ব্যবসায়ী মোঃ নূর আলম হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-
১। মিরাজ মিয়া (২০), ২। মোঃ শিপন ওরফে সম্রাট (২৫) ও ৩। মোঃ রিফাত (১৯)।

এসময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, একটি কাঁচি ও দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

কামরাঙ্গীরচর থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম মোঃ নূর আলম কামরাঙ্গীরচর থানার হাসান নগর ভান্ডারী মোড়ে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ফেব্রিক্সের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। গত (৬ ডিসেম্বর) সকালে ভিকটিম নূর আলম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রামের বাড়িতে যাবে মর্মে তার স্ত্রীকে ফোন করে। এসময় ভিকটিমের স্ত্রী কয়েকজন লোকের সাথে ভিকটিমের বাকবিতন্ডার কথা শুনতে পান। এরপর থেকে ভিকটিমের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে ভিকটিম মোঃ নূর আলম নিখোঁজ থাকায় ভিকটিমের জামাতা মোঃ আতাউল্লাহ খান সজিব কামরাঙ্গীরচর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন।

থানা সূত্র আরও জানায়, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে। অতঃপর মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কামরাঙ্গীরচরে ভিকটিমের ছাপাখানা থেকে কর্মচারী মিরাজকে গ্রেফতার করে থানার একটি দল। একই দিন কামরাঙ্গীরচরের ঝাউরাহাটি থেকে রিফাতকে ও কোতয়ালী থানার সদরঘাট এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ০৪:২৫ থেকে ০৪:৪৫ টার মধ্যে গ্রেফতারকৃত শিপন, মিরাজ, রিফাত ও পলাতক জিহাদ সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের সহায়তায় ভিকটিমের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে এবং মৃতদেহ বাথরুমে নিয়ে দুই খণ্ড করে। অতঃপর ভিকটিমের মৃতদেহ যাতে কেউ খুঁজে না পায় সেজন্য মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশে মৃতদেহের খন্ড দুটি পলিথিন ও কাপড় দ্বারা পেঁচিয়ে একটি বস্তায় ভরে ছাপাখানার ভেতরে টেবিলের নিচের মেঝে ভেঙ্গে মাটি চাপা দেয়। এরপর জায়গাটি বালু ও সিমেন্ট দ্বারা ঢালাই করে।

গ্রেফতারকৃতদের দেখানো মতে পুলিশ ছাপাখানার ভেতর থেকে মেঝের ঢালাই ভেঙ্গে ভিকটিমের দুই খন্ড মৃতদেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের দেখানো মতে ভিকটিমকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও চাকু এবং অন্যান্য আলামত পুলিশ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। অতঃপর লাশের ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের জামাতা আতাউল্লাহ খান সজিব বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় গত (১০ ডিসেম্বর) একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্যান্য আসমিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন