ঢাকা      বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম

আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তে রাশিয়া দায়ী, ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের

IMG
28 December 2024, 2:52 PM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার জন্য রাশিয়া দায়ী হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রাথমিক ইঙ্গিত পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্টকে জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ইঙ্গিত পেয়েছে, তা শুধু ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের ছবি থেকে নয়, আরও তথ্যের ভিত্তিতে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি। তবে এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, চেচনিয়ায় অবতরণের চেষ্টা করার সময় রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে গুলি করা হয়েছিল বিমানটিতে। পরে বিমানটি ক্যাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে কাজাখস্তানে মোড় নেয়, যেখানে এটি বিধ্বস্ত হয়।

ক্রেমলিন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার প্রধান বলেছেন, চেচনিয়ার পরিস্থিতি খুব জটিল কারণ ওই অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা চলছে।

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ এবং আজারবাইজানের অন্যরা মনে করছেন, বিমানের জিপিএস ব্যবস্থা ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের কারণে বিঘ্নিত হয়েছিল এবং এটি রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের শার্পনেলের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আজারবাইজান সরাসরি রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেনি। তবে দেশের পরিবহনমন্ত্রী রাশাদ নাবিয়েভ বলেছেন, বিমানটি বাইরের হস্তক্ষেপের শিকার হয়েছিল এবং অবতরণের চেষ্টা করার সময় ভেতর এবং বাইরে উভয় দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

তার দাবি, সব বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বলেছেন যে তারা চেচনিয়ার গ্রোজনির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তিনি বলেন, এখন তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখবেন কি ধরনের অস্ত্র, বা কি ধরনের রকেট ব্যবহার করা হয়েছিল।

তবে সরকারপন্থি এমপি রাসিম মুসাবেকোভ স্পষ্ট করে বলেছেন, বিমানটি রাশিয়ার ভূখণ্ডে-গ্রোজনির আকাশে গুলি করে নামানো হয়েছিল। এটি অস্বীকার করা অসম্ভব। তিনি এএফপি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং পাইলট জরুরি অবতরণের জন্য গ্রোজনিতে অনুরোধ করেছিলেন। কাছের বিমানবন্দরে পাঠানোর পরিবর্তে বিমানটিকে জিপিএস ছাড়াই দূরে ক্যাস্পিয়ান সাগরের ওপর দিয়ে অনেক দূরে পাঠানো হয়েছিল।

বিধ্বস্ত বিমানের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জুলফুকার আসাদোভ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগের মুহূর্তের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘চেচনিয়ার ওপর আকাশে বাইরে থেকে কিছু এটা বিমানটিকে আঘাত করে। ফলে ভেতরে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আমরা তাঁদের শান্ত করার এবং নিজ নিজ আসনে বসিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। সেই মুহূর্তে, সেখানে আরেকটি হামলা হয় এবং আমি হাতে আঘাত পাই।’

বিধ্বস্ত বিমানের ২৯ জন আরোহী বেঁচে গেছেন। এ জন্য সবাই পাইলটের দক্ষতার প্রশংসা করছেন। আহত ব্যক্তিদের কাজাখস্তানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গত বুধবার কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের একটি বিমান -ফ্লাইট জে২-৮২৪৩ বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৮ জন নিহত হন। বেঁচে যান ২৯ জন। উড়োজাহাজটিতে যাত্রী ও ক্রু মিলে ৬৭ জন আরোহী ছিলেন।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনির উদ্দেশে রওনা করেছিল বিমানটি। পথে কিছু একটার আঘাতে জরুরি অবতরণ করতে চাইলে সেটিকে কাস্পিয়ান সাগরের ওপর দিয়ে কাজাখস্তানের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন