ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩০ জন। তাদের যাদের অনেকেরই অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এছাড়া ভূমিকম্পে হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, তিব্বতের স্থানীয় সময় আজ সকাল নয়টার দিকে শিগেৎসে শহরে বড় আকারের ওই ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল সাত দশমিক এক। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই এলাকায় ছোট ছোট আরও কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূতাত্ত্বিকভাবে ফল্ট লাইন বা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় তিব্বতের ওই অঞ্চলে প্রায় ভূমিকম্প হতে দেখা যায়। তবে এবারের ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বেশি বলে জানা যাচ্ছে। প্রথম দফার ভূমিকম্পটি এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে, নেপাল, ভারত এবং বাংলাদেশেও এর ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ওইসব দেশে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শিগেৎসে নামে তিব্বতের যে শহরে ভূমিকম্প হয়েছে, সেটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে 'পবিত্র শহর' হিসেবে পরিচিত। বস্তুত তিব্বতে বৌদ্ধধর্মের প্রধান ব্যক্তিত্ব পঞ্চেন লামার ঐতিহ্যবাহী আসনটি এই শহরেই অবস্থিত। বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে দালাই লামার পরেই পঞ্চেন লামার অবস্থান।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com