ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: পাকিস্তান দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে, যেখানে প্রতিনিধিরা বিশ্বব্যাপী মুসলিম সমাজে মেয়েদের শিক্ষা উন্নয়নের পক্ষে কথা বলছেন এবং মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞাকে ইসলামের নীতির পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেন। তবে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং অংশগ্রহণকারী দেশের পন্ডিত ব্যক্তিরাসহ বক্তারা আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত ছিলেন। আফগানিস্তান হচ্ছে একমাত্র ইসলামি রাষ্ট্র যেখানে কট্টরবাদী তালেবান নেতারা মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণীর বেশি শিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।
ওই সম্মেলনের প্রাক্কালে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন যে, কাবুলে তালেবান সরকারকে মুসলিম সমাজে মেয়েদের শিক্ষা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ইসলামাবাদ এ কথা জানায়নি যে, তারা এ ব্যাপারে কোন জবাব দেয়নি।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪টি মুসলিম ও মুসলিমদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন দেশের মধ্যে মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, পন্ডিত ব্যক্তি ও শিক্ষকবৃন্দ যোগ দেন। এছাড়া ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংক এবং ওআইসির প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।
সৌদি আরব ভিত্তিক বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংগঠন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের মহাসচিব মোহাম্মদ বিন আব্দুল করিম আল-ঈসা তাঁর ভাষণে জোর দিয়েই বলেন যে, পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সবাইকে শিক্ষা পেতে হবে। পরে তিনি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদ সম্মেলনে দোভাষীর মাধ্যমে জোর দিয়েই বলেন যে, ইসলাম নারীদের শিক্ষা গ্রহণকে অনুমোদন করে। এরপর তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, এই বৈঠকের ফলাফল কি আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষা ও কাজ পাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ শিথিল করতে তালেবানকে উৎসাহিত করবে- তখন তিনি বলেন, “ ইসলামি বিশ্ব এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করে যে, যারা নারী শিক্ষার বিরোধী তারা ভুল পথে যাচ্ছে এবং তারা সত্যিকারের ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না”।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি আজ রোববার সমাবেশে ভাষণ দিবেন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com