ঢাকা      রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শিরোনাম

অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে কাজে ফিরবেন না কর্মচারীরা

IMG
25 May 2025, 2:46 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। আজ রবিবার (২৫ মে) সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করার সময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে অপপ্রয়াস নেওয়া হচ্ছে, আমরা তাদের এই অপপ্রয়াস রুখে দেবো, ইনশাআল্লাহ। এটি নিবর্তনমূলক আইন। এই অধ্যাদেশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা কাজে ফিরবো না। আমরা সচিবালয়ে বাদামতলায় (৬ নম্বর ভবনের সামনে চত্বর) অবস্থান করবো।‘

সব ফটক আটকে সচিবালয় অচল করে দেওয়ার হুমকিও দেন কর্মচারী নেতারা। তারা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে অনেক উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কেউ আমাদের আশ্বস্ত করতে পারেননি। আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।’

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানির জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর শনিবার সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এর আগে, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টা নাগাদ বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীতে পূর্ণ হয়ে যায় সচিবালয়ের এ চত্বর। ১০টার কিছু পরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিছিল শুরু হয়।

এরপর সেখানে যোগ দেন সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত পরিষদের অপর অংশ। আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী এসোসিয়েশনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যান্য সংগঠন যোগ দেয় মিছিলে।

মিছিল করার সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও লড়াই কর’; ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না মানবো না’; ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’- স্লোগান দিতে থাকেন।

৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে দিয়ে নতুন ভবন, ক্লিনিক ভবনের সামনে দিয়ে ১১ নম্বর ভবনের সামনে আসেন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করতে থাকেন।

এরপর তারা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ৪ নম্বর ভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে তার দপ্তরে দেখা করতে যান। তবে তিনি দপ্তরে ছিলেন না। পরে মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয়ের এক নম্বর ফটক বা প্রধান ফটকের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। সেখানে সংযুক্ত পরিষদ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের নেতারা বক্তব্য দেন।

এ সময় প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রায় ২০ মিনিটের মত ফটক বন্ধ ছিল। এ সময় সচিবালয় থেকে কেউ বের এবং প্রবেশ করতে পারেননি। পরে মিছিল নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন