স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে দিয়েছিলেন। মাঝারি লক্ষ্যে আটকে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কাকে। শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও আশা দেখালেন। কিন্তু পরক্ষণেই যেনো বেড়িয়ে এলো আসল চেহারা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের ধারবাহিকতা ধরে রেখে হোচট খেলো বাংলাদেশ। ১ উইকেটে ১০০ রান থেকে স্কোর দাঁড়ালো ১০৫ রানে ৮ উইকেট। ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশ হারলো ৭৭ রানে।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের পূঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য তাঁড়ায় নেমে বাংলাদেশ ৩৫.৫ ওভারে তুলতে পারে ১৬৭ রান। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে গেলো ১-০ ব্যবধানে।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা বেশ ভালো আশা জাগানিয়া ছিল। যদিও অভিষিক্ত ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন দ্রুত ফিরলেও দলের হাল ধরেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭১ বলে ৭১ রান তুলেছিলেন এই দু'জন।
১৭তম ওভারে শান্ত ২৩ রানে রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙ্গে সেই জুটি। এই জুটির সঙ্গে ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের স্তম্ভও। পুরনো রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যাটিং বিপর্যয় উপহার দেন ব্যাটাররা। এরপর মাত্র ৩ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট।
রানের খাতা খোলার আগে ফিরে যান লিটন দাস। একই পথে হাটেন তাওহীদ হৃদয়ও। ফেরার আগে ৪ বলে ১ রান করতে পারেন তিনি। মাঝখানে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওপেনার তানজিদও ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। ৬১ বলে ৬২ রান করে ফিরে দলের বিপদ আরও বাড়ান তিনি।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফিরেছেন ব্যর্থ হয়ে রানের খাতা খোলার আগে। বাকিদের আঁকা ব্যর্থতার ছবিতে পূর্ণতা দিয়েছেন নিচের দিকের ব্যাটাররা। তানজিম সাকিব ফিরেছেন ১ রানে। তাসকিন আহমেদ রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন।
এরপর নবম উইকেটে জাকের আলি আর তানভীর ইসলাম ২০ রানের জুটি গড়েন। তানভীর ১৯ বলে ৫ রানে ফিরলে ভাঙ্গে সেই জুটি। দশম উইকেট মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে এরপরও লড়াই চালিয়ে যান জাকের। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। পঞ্চাশের কাছাকাছি যাওয়া এই জুটি ভাঙ্গে জাকের ৫১ রানে ফিরলে।
বাংলাদেশের এই ব্যাটাররা নিজেদের উইকেটগুলো উপহার দিয়েছেন লঙ্কান দুই স্পিনার কামিন্দু মেন্ডিস আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। ৭.৫ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন হাসারাঙ্গা। ৫ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন কামিন্দু মেন্ডিস। একটি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো আর মাহিশ থিকসানা।
এর আগে বোলিংয়েও বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ২৯ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের কোণঠাসা করে দেন তাসকিন-তানজিমরা। এরপর অবশ্য ছোট ছোট জুটিতে দলের হাল ধরেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ১২৩ বলে ১০৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। অধিনায়কের ব্যাটে ভর দিয়ে ২৪৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় লঙ্কানরা।
ইনজুরি থেকে ফিরে বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন পেসার তাসকিন। ৩টি উইকেট নেন তানজিম। একটি করে উইকেট নেন শান্ত আর তানভীর ইসলাম।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com