ঢাকা      রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২
শিরোনাম

জার্মানিতে প্রতি ২৫ জনে একজন আশ্রয় প্রার্থী

IMG
05 July 2025, 6:49 PM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: জার্মানিতে ২০২৪ সালে স্বীকৃত আশ্রয় প্রার্থী ও সুরক্ষার নিশ্চিত অধিকার পাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩ লাখ৷ এর মধ্য দিয়ে জার্মানির জনসংখ্যা বেড়েছে চার দশমিক এক ভাগ৷

রক্ষণশীলদের নেতৃত্বে থাকা দেশটির নতুন সরকার এই সংখ্যা কমাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে৷ জার্মানির সেন্ট্রাল রেজিস্টার অফ ফরেন ন্যাশনালস জানিয়েছে, ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষা মর্যাদা পাওয়া মানুষের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় অন্তত এক লাখ ৩২ হাজার বেড়েছে৷ এই পরিসংখ্যানে আশ্রয় প্রার্থী এবং অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা পাওয়া মানুষদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷

জার্মানির ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য বলছে, ৩৩ লাখ স্বীকৃত শরণার্থীর মধ্যে ইউক্রেন থেকে আসা ১০ লাখেরও বেশি যুদ্ধ শরণার্থী রয়েছেন৷ সিরীয়দের সংখ্যা সাত লাখ ১৩ হাজার৷ আফগানিস্তানের নাগরিকদের সংখ্যা তিন লাখ ৪৮ হাজার৷ ইরাকি আছেন এক লাখ ৯০ হাজার৷ তুরস্কের নাগরিকের সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজার৷ আর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষের সংখ্যা দুই লাখ ৭৭ হাজার৷ তাদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক এসেছেন সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়াসহ হর্ন অফ আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে৷

পরিসংখ্যান বলছে, আট কোটি ৩৩ লাখ মানুষের দেশ জার্মানির প্রতি ২৫ জনে একজন আশ্রয় প্রার্থী৷ তবে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্য বা অঞ্চল ভেদে এই সংখ্যার তারতম্য হতে পারে৷

পরিসংখ্যান বলছে, জার্মানিতে অবস্থানরত শরণার্থীরা জার্মানদের তুলনায় তরুণ৷ কারণ, ২০২৪ সালে শরণার্থীদের গড় বয়স ছিল ৩২ বছর৷ জার্মানির মোট জনসংখ্যার গড় বয়স ৪৫ বছর ছয় মাস৷ জার্মানিতে ইউক্রেনীয়দের গড় বয়স ৩৫ বছর৷ সিরিয়া এবং আফগান শরণার্থীদের গড় বয়স যথাক্রমে ২৮ এবং ২৭ বছরের একটু কম৷

স্বীকৃত শরণার্থীদের অন্তত ৪৫ শতাংশ নারী৷ ইউক্রেনীয়দের মধ্যে নারীর সংখ্যা অন্তত ৬০ ভাগ৷ কারণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণে বেশিরভাগ ইউক্রেনীয় পুরুষরা দেশ ছাড়েননি বা তাদের ছাড়তে দেয়া হয়নি৷

পরিসংখ্যান আরো বলছে, জার্মানিতে স্বীকৃত শরণার্থীদের চার ভাগের এক ভাগ ১৮ বছরেরও কম বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরী৷

৩৩ লাখ শরণার্থীর মধ্যে ৮২ শতাংশ বা ২৭ লাখেরও বেশি মানুষের জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি রয়েছে৷ আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছেন চার লাখ ২৭ হাজার জন৷

এক লাখ ৭১ হাজার আশ্রয় প্রার্থীর আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে৷ তাদের দেশ ছেড়ে যেতে বলা হলেও তারা এখনও জার্মানিতেই রয়েছেন৷ এসব ক্ষেত্রে জোরপূর্বক নির্বাসন বা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন সম্পন্ন করতে এক মাস থেকে বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে৷

আরও এক লাখ ৩৬ হাজার আশ্রয় প্রার্থীকে তথাকথিত সহনশীলতা বা ডুলডুং-এর আওতায় জার্মানিতে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷ মূলত এসব আশ্রয় প্রার্থীর আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর হয়নি৷ কিন্তু শারীরিক অবস্থাসহ বিশেষ বিবেচনায় তাদের প্রত্যাবাসন না করে জার্মানিতে অস্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন