ঢাকা      মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
শিরোনাম

ইয়েমেনে হুথি টার্গেটে ইসরাইলের হামলা

IMG
07 July 2025, 12:35 PM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তিনটি বন্দর এবং একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ নিশ্চিত করেছেন, তাদের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ছিল গ্যালাক্সি লিডার নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। এই জাহাজটি ২০২৩ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠী (হুথি) ছিনতাই করেছিলো এবং ইসরাইল বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় সামুদ্রিক জাহাজ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হতো।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মতে, হুদায়দাহ, রাস ইসা এবং সাইফ বন্দরে তারা হামলা চালানোর পর ইয়েমেন থেকে ইসরাইলে দু'টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ইরান সমর্থিত হুথি সামরিক গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, হামলার পরে তারা তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে। "স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিপুল সংখ্যক ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র" ব্যবহার করে ইসরাইলি আক্রমণ প্রতিহত করার কথা জানান তিনি।

ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতামূলক সাইরেন বাজাতে দেখা গেছে এবং সেখানকার সেনাবাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের ফলাফল এখনো যাচাই করা হচ্ছে।

ইয়েমেনে হুথি পরিচালিত গণমাধ্যম বলেছে, ইয়েমেনের হুদায়দায় ইসরাইল হামলা চালিয়েছে,। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

কাৎজ বলেছেন, এই হামলাগুলো ছিল “অপারেশন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ”-এর অংশ এবং এবং হুঁশিয়ারি করেছেন যে হুথিদের "তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে"। তিনি এক্স (আগের টুইটার) এ লিখেছেন, "ইয়েমেনের পরিণতি তেহরানের মতোই হবে। কেউ যদি ইসরাইলকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের নিজেদেরই ক্ষতি হবে। আর কেউ যদি ইসরাইলের বিরুদ্ধে হাত তোলে, তার হাত কেটে ফেলা হবে।"

ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরুর পর থেকে, ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা নিয়মিতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করেছে।

ইসরাইলি বিমানবাহিনী বলেছে, ইয়েমেনের বন্দরে তারা সবশেষ হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের নাগরিকদের লক্ষ্য করে হুথিদের বারবার হামলার জবাব হিসেবে।

তারা আরো বলেছে, ইয়েমেনের যেসব বন্দরে হামলা করা হয়েছে, সেখানে ইরানের সরকারের কাছ থেকে অস্ত্র এনে ইসরাইল ও তার মিত্রদের ওপর হামলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, হামলার কিছুক্ষণ পর হুথিরা নিশ্চিত করে যে, তারা তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের হামলা প্রতিহত করেছে।

রাস কানাতিব বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা কাছের ইব ও তাইজ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, সেটিও ইসরাইলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। এই হুদায়দায় সর্বশেষ হামলা হয় গত মে ও জুন মাসে। ইসরাইলি নৌবাহিনীর জাহাজগুলো ওই বন্দর শহরটিতে আঘাত করেছিলো।

হুদায়দা বন্দর, যা লাখ লাখ ইয়েমেনির জন্য খাদ্য ও অন্যান্য মানবিক সহায়তার প্রধান প্রবেশদ্বার, সেটি গত এক বছরে একাধিকবার ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন