ঢাকা      মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
শিরোনাম

ড. ইউনূসকে পাঠানো শুল্ক বাড়ানোর চিঠিতে যা লিখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

IMG
08 July 2025, 12:14 PM

নিউজ ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বার্তা দিয়ে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ওই চিঠিটি নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

হোয়াইট হাউস
ওয়াশিংটন
৭ জুলাই, ২০২৫

মাননীয় মুহাম্মদ ইউনুস
প্রধান উপদেষ্টা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
ঢাকা

প্রিয় মি. ইউনুস,

এই চিঠি পাঠানো আমার জন্য এক মহান সম্মানের বিষয়, কারণ এটি আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের দৃঢ়তা এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। বাংলাদেশের সাথে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও, একসাথে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। তবে, আমরা এখন আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য বাণিজ্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে চাই।

আমরা আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি বিশ্বের এক নম্বর বাজার—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ অর্থনীতিতে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য। গত কয়েক বছর ধরে আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে আমাদের অবশ্যই এই দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, যা মূলত বাংলাদেশের শুল্ক, অ-শুল্ক নীতিমালা এবং বাণিজ্য বাধার কারণে সৃষ্টি হয়েছে।

দুঃখজনকভাবে, আমাদের সম্পর্কটি বর্তমানে একমুখী এবং পারস্পরিক নয়। তাই, পহেলা আগস্ট ২০২৫ থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বাংলাদেশি যেকোনো এবং সব পণ্যের উপর ৩৫% শুল্ক আরোপ করবো। বর্তমানে বিভিন্ন খাতে যে শুল্ক রয়েছে, এই শুল্ক তার অতিরিক্ত হিসাবে কার্যকর হবে।

এই শুল্ক এড়াতে যদি ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হয়, সেটিও উচ্চ শুল্কের আওতায় পড়বে।

অনুগ্রহ করে উপলদ্ধি করুন যে, বর্তমানে আপনার দেশের সাথে আমাদের যে বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে, এই ৩৫% শুল্ক হারটি সেই বৈষম্য দূর করার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

তবে বাংলাদেশ বা আপনার দেশের কোম্পানিগুলি যদি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য উৎপাদন বা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাদের কোনো শুল্ক দিতে হবে না। সেক্ষেত্রে দ্রুত, পেশাদারিত্বের সাথে তাদের অনুমোদন দিতে আমরা সবকিছু করবো. যা হয়তো কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করা হবে।

তবে কোনো কারণে বাংলাদেশ যদি তার শুল্ক হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আপনি যেকোনো হারে শুল্ক বাড়াবেন, আমরা একই হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করবো।

আপনি উপলদ্ধি করবেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য ঘাটতি, সেটা তৈরির পেছনে ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশের অনেক বছরের শুল্ক ও অশুল্ক নীতি ও নানা রকমের বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা। এই ঘাটতি আমাদের অর্থনীতির জন্য এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।

আমরা বহু বছর ধরে আপনার বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে কাজ করার জন্য আগ্রহী।

যদি আপনি এতদিন ধরে বন্ধ থাকা বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুলতে চান এবং আপনার শুল্ক ও অশুল্ক নীতিমালা এবং বাণিজ্য বাধাগুলি দূর করতে চান, তাহলে আমরা এই চিঠির কিছু অংশ পুনর্বিবেচনা করতে পারি। এই শুল্ক হার আপনার দেশের সাথে আমাদের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে বাড়তে বা কমতে পারে।

আপনি কখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হতাশ হবেন না।

এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!

শুভেচ্ছান্তে,

ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন