ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশের আগেই দলটির নেতাকর্মীদের ভিড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আজ দুপুর দুইটায় দলটির জাতীয় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর কথা থাকলেও শুক্রবার রাত থেকেই জমায়েত শুরু হয় উদ্যানে। সকাল ১০টার দিকে ভিড় ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের সড়কে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ১২ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছি। অন্যান্য জেলা থেকে ১১ হাজার বাস, আট হাজার গাড়ি, চারটি ট্রেনে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আসছেন। লঞ্চেও আসবেন অনেকে।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ৭ দফা দাবিতে এই সমাবেশ করছে জামায়াত। দলটির দাবির মধ্যে রয়েছে- জুলাই গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ডা তাহের, বলেন, সমাবেশ থেকে ন্যায্য দাবিগুলো জাতির কাছে তুলে ধরা হবে।
সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এলাকায় দেখা যায়, ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগানে একের পর এক মিছিল আসছে সমাবেশে। আদালতের রায়ে নিবন্ধন ফিরে পাওয়া জামায়াতের নেতাকর্মীরা দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও নিয়ে আসছেন।
জামায়াত নেতারা জানান, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আসা বাস যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর এলাকায় রাখা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বাস মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পার হবে না। সেখান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসছেন।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে ধরপাকড়ে কোণঠাসা জামায়াত ১১ বছর ঢাকায় এককভাবে সমাবেশ করার সুযোগ পায়নি। দলটি প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করছে। ২০০৯ সালের আগে দলটি সমাবেশ করতো পল্টন ময়দানে। ২০১২ সালে ময়দানটিতে রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ করে সরকার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক সমাবেশ আয়োজন শুরু হয় একই বছর থেকে। বিএনপির জোটের সঙ্গে জামায়াত সমাবেশ করলেও এককভাবে সোহরাওয়ার্দীতে কর্মসূচি করতে পারেনি।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com