স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: মিরপুরে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো পাকিস্তান। শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৭৪ রানে হারায় সফরকারীরা। এ হারের পরও তিন ম্যাচ সিরিজ ২-১ এ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তাই একাদশে পাঁচ পরিবর্তন আনে স্বাগতিকরা। বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭৪ রানে হারায় পাকিস্তান। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে তারা। জবাবে ২০ বল বাকি থাকতে ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয় বাংলাদেশের। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ইনিংসের এক তৃতীয়াংশ না যেতেই কার্যত হার নিশ্চিত হয়ে যায়। প্রথম সাত ব্যাটারদের মধ্যে কেবল মোহাম্মদ নাঈম শেখই দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন। তাও কাটায় কাটায় ১০ রান।
অষ্টম উইকেটে জুটিতে এসে ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি পায় বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিন ও নাসুমের জুটিতে ২৬ বলে আসে ২৪ রান। এরপর অবশ্য তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ১৬ ও ২৩ রানের আরও দু'টি জুটি গড়েন সাইফ। তবে তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৪ বলে দু'টি করে চার ও ছক্কায় এই রান করেন তিনি।
এর আগে, টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্যই দাঁড় করায় পাকিস্তান। ফখর জামানের জায়গায় প্রথমবারের মতো এই সিরিজে খেলতে নেমে আগ্রাসী ফিফটি করেন সাহিবজাদা ফারহান। তার ও সাইম আইয়ুবের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে ঝড় তোলেন হাসান নাওয়াজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। ফলে বড় পুঁজি পেয়ে যায় সফরকারীরা।
সাইমের সঙ্গে সাহিবজাদার ওপেনিং জুটিতে ৪৭ বলে আসে ৮২ রান। এরপর অবশ্য এতো বড় জুটি দাঁড় করাতে পারেনি তারা। তবে ছোট ছোট জুটিতেই শক্ত ভিত মিলে যায় তাদের। মাঝে মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে অধিনায়ক সালমান আগার ৪১ রানের জুটি এগিয়ে দেয় তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে ফারহানের ব্যাট থেকে। ৪১ বলে ৬টি চার ও ৫টী ছক্কায় এই রান করেন এই ওপেনার। সাইম দুটি চার ও একটি ছয়ে করেন ২১ রান। হাসান খেলেন ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। তিনি মারেন একটি চার ও তিনটি ছক্কা। নাওয়াজ দুটি করে চার ও ছক্কায় করেন ১৬ বলে ২৭ রান।
বাংলাদেশের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম ৪ ওভারে ২২ রানে পান ২ উইকেট। ১ উইকেট নিতে পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনের খরচা ২৮ রান। বাকিরা ছিলেন খরুচে। ডানহাতি পেসার তাসকিন ৩ উইকেট শিকার করতে দেন ৩৮ রান। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ১ উইকেট নেন ৩৬ রানের বিনিময়ে। অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ৩ ওভারে ৩৯ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। আরেক অফ স্পিনার মিরাজ ১ ওভার হাত ঘুরিয়েই দেন ১৪ রান।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com
