ঢাকা      শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২
শিরোনাম

রাতে এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ ফাইনাল, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

IMG
28 September 2025, 2:30 PM

স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: খেলাধুলায় সব সময় হার-জিত দিয়ে বিচার করা যায় না। তবে আজ রোববার এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ভারত এবং পাকিস্তান দুই দল একটাই লক্ষ্য নিয়ে নামবে, যে কোনো মূল্যে জয়। গত দুই সপ্তাহে এই দুই দলের ম্যাচ যেভাবে ঘটনাবহুল হয়েছে, তাতে ফাইনালে যে উত্তেজনার কমতি থাকবে না, তা এখন থেকেই বলে দেওয়া যায়। শুধু মাঠ নয়, মাঠের বাইরের লড়াইয়ের দিকেও নজর থাকবে। মার্কিন রাজনীতিবিদ মাইক মারকুসিকে উদ্ধৃত করে বলা যায়, এই ম্যাচ আসলে ‘ওয়ার মাইনাস শুটিং’। অর্থাৎ, গোলাগুলি ছাড়াই যুদ্ধ।

বছরের পর বছর ধরে এই ম্যাচে উত্তেজনার কোনও অভাব থাকে না। তবে এবার যে প্রেক্ষাপটে ম্যাচটি খেলা হচ্ছে, তা গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। মাঠের বাইরের লড়াই এ বার ২২ গজের লড়াইয়ের থেকে বেশি উত্তেজক হয়ে উঠেছে। মাঠে দু’টি ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। রোববার তৃতীয় লড়াই। তবে বাহ্যিক ঘটনাবলী সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেছে।

গ্রুপ ম্যাচে ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের হাত না মেলানোর সিদ্ধান্ত থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। দ্বিতীয় ম্যাচে হারিস রউফের টিটকিরি, খারাপ কথা এবং ‘প্লেন ক্র্যাশ সেলিব্রেশন’, সাহিবজ়াদা ফারহানের ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ বিতর্কে ইন্ধন জুগিয়েছে। হারিস এবং সূর্যকে ৩০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছে।

কাগজে-কলমে, ভারত এগিয়ে থেকেই নামছে। প্রতিযোগিতায় ছয়টি ম্যাচেই তারা জিতেছে। একমাত্র শ্রীলঙ্কা বাদে কোনও ম্যাচেই তাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়নি। পাকিস্তান ফাইনালে উঠেছে হোঁচট খেতে খেতে। ভারতের কাছে দু’টি ম্যাচ তো হেরেছেই। বাংলাদেশকে কোনও মতে হারিয়েছে সুপার ফোরে। সমস্যায় পড়েছে ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দলের কাছেও।

বাংলাদেশকে হারানোর পর পাক কোচ মাইক হেসন বলেছেন, “ফাইনালে জেতাই আসল।” ভারতের কথাতেও একই সুর। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বোলিং কোচ মর্নি মরকেল বলেছেন, “জয় ব্যাপারটাই খুব কুৎসিত। কিন্তু জয় জয়ই।”

ভারতের অপরাজিত থাকার দৌড় পুরোপুরি মসৃণ নয়। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে এক ওভার বল করেই হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ধরায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া। পেশিতে টান ধরে অভিষেক শর্মার। দুবাইয়ের গরমের কারণেই এমনটা হচ্ছে। তবে দুই ক্রিকেটারকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মরকেল। তিনহ বলেছেন, “হার্দিককে সকালে পরীক্ষা করা হবে। অভিষেক ভালই আছে।”

দুই ক্রিকেটারই ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভিষেক। শেষ তিনটি ম্যাচে অর্ধশতরান করা এই ওপেনার পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা। এ বিষয়ে ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আখতার বলেছেন, “শুরুতেই অভিষেককে আউট করো।”

প্রশ্ন হলো, অভিষেক ব্যর্থ হলে বাকিদের কি দলকে জেতানোর ক্ষমতা আছে? শুভমান গিল ছন্দে নেই। একই হাল সূর্যকুমারের। সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক বর্মা শ্রীলঙ্কা ম্যাচে রান পেলেও, পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের বোলিংয়ের তুলনা করা যায় না। তাছাড়া, নিয়ম রক্ষার ম্যাচ এবং ফাইনাল এক নয়।

পাকিস্তানের চিন্তাও কম নয়। তাদেরও ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সাহিবজাদা একটি ম্যাচ ছাড়া এখনও বলার মতো রান পাননি। ব্যাটে খরা সাইম আয়ুবেরও। হুসেন তালাত এবং সালমান আঘা আগের ম্যাচে ভারতের স্পিনারদের সামলাতে পারেননি। এই ম্যাচেও নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে হবে কুলদীপ যাদব এবং বরুণ চক্রবর্তীকে।

এসব তো গেল ক্রিকেটীয় কথা। মাঠে কী হয়, তা জানার জন্য দুই দেশের সমর্থকরাই মুখিয়ে থাকবেন। সূর্যকুমার কি হাত মেলাবেন? মাঠে কি আবার ঝামেলা হবে? খলনায়কের চরিত্রে কি নতুন কেউ আসবেন? ট্রফি জয় নয়, বিতর্কই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সুর বেঁধে দিতে চলেছে।

কথায় আছে, ‘সব ভাল যার শেষ ভালো’। সূর্যকুমার নাকি সালমান, কার মুখে রাতে এই কথা শোনা যাবে, অপেক্ষা তারই।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন