স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: গ্রুপ স্টেজ, সুপার ফোর এবং সবশেষে ফাইনাল। একই টুর্নামেন্টে তিনবার পাকিস্তান হারালো ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে পরপর দু’বার তারা জিতলো এশিয়া কাপ। ম্যাচের নায়ক তিলক বর্মা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন শিভম দুবে।
এদিন রান পাননি অভিষেক শর্মা। রোববার দুবাইয়ে ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে শাহিন শাহ আফ্রিদির ওভারের দ্বিতীয় বলেই চার মারেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ওভারে ফাহিম আশরাফের শিকার হন। স্লোয়ার বুঝতে না পেরে সোজা ওপরে তুলে ক্যাচ আউট হন।
অন্য ওপেনার শুভমান গিলকেও ফেরান ফাহিম। ফাইনালেও ফর্ম ফিরে পেলেন না ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। শাহিন আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্কাই। ইনিংসের হাল ধরেন সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক বর্মা।
গোটা টুর্নামেন্টে এদিনই ভারত পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে কম রান তুলেছিল। তবে দুই ব্যাটারই নিজেদের মতো করে সেট হচ্ছিলেন। ড্রিঙ্কস ব্রেকের সময় মাঠে দেখা যায় গৌতম গম্ভীরকেও। দশম ওভারের পর থেকে চালিয়ে খেলছিলেন সঞ্জু। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আবরার আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি(২৪)।
স্যামসনের পর ক্রিজে আসেন শিভম দুবে। তবে ভারতীয় মিডল অর্ডারকে এদিন বেশ খানিকটা চাপে পড়তে দেখা গেছে। এমনকি, পার্ট টাইম সাইম আইয়ুবকেও মারার রিস্ক নিচ্ছিলেন না ভারতীয় ব্যাটাররা।
ভারতকে ম্যাচে ফেরালেন সমালোচনার মুখে পড়া হারিস রউফই। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১৭ রান দেন তিনি। চাপের মুখে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিলক বর্মা। পাকিস্তানি বোলারদের পিটিয়ে এবং দরকার মতো খুচরো রান নিয়ে অর্ধশতরান করে ভারতকে ম্যাচে রেখেছিলেন তিনি।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ১৪৬ রান। যদিও একটা সময় যে গতিতে রান হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করে দেবেন সালমান আগার দল। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা নিজেরাই নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দেন। ফখর জামান আউট হওয়ার পর সাইম আইয়ুব এবং সাহিবজাদা ফারহান যখন খেলছিলেন, তখন পাকিস্তান এক উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান। সেখান থেকে আইয়ুব এবং ফারহান আউট হতেই বাকিরাও ফিরতে বেশি দেরি করেননি।
ফখর জামান এবং বিপজ্জনক সাহিবজাদা ফারহানকে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। মিডল অর্ডারকে ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব। ১৪ রানের মাথায় সাইম আয়ুব ফেরার পরেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ হ্যারিস (০)। তারপর ফেরেন অধিনায়ক সালমান আগা (৮), হুসেন তালাত(১)। এদিন রান পাননি শাহিন আফ্রিদি (০) এবং ফাহিম আশরাফও (০)। কুলদীপ শুরুর ওভারে মার খেলেও চার ওভারে ৩০ রান চার উইকেট নেন তিনি।
একদিকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের সাজঘরে ফেরার দৃশ্য দেখছিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। যশপ্রিত বুমরাহ সেটা বুঝতে পেরে শেষ ওভারে তাকে আউট করে দেন। বোল্ড করেন হ্যারিস রউফকেও। তার অফ স্টাম্প ছিটকে দিয়ে তার ভঙ্গিতেই সেলিব্রেশন করেন বুমরাহ।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com