ঢাকা      শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২
শিরোনাম

পলাতক থাকলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না

IMG
23 October 2025, 9:31 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি প্রার্থী হতে পারবে না—এমন বিধান সংবলিত সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সায় দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ক্ষেত্রে যে ইম্পোর্টেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট করা হয়েছে। ইভিএম সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতায় পলাতক ব্যক্তিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

পলাতক আসামি বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতক হচ্ছে—আদালত যখন পলাতক ঘোষণা করে। যেদিন আদালত আপনাকে আসতে বলছে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, আসছেন না—আদালত পলাতক ঘোষণা করে। বিচার চলাকালীন সময়ে পলাতক হয়।

সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নতুন বিধানের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় এফিডেভিটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আয়ের উৎসের বিবরণ দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এসব কিছু প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন—প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয়ের উৎস, সম্পত্তি, বিবরণ নির্বাচন কমিশনে দিতে হবে। এটা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দেন, সবাই জানবে কার কী সম্পত্তি। উনি নির্দেশ দিয়েছেন, এ সংক্রান্ত বিধান আইনে থাকবে।

এবার ভোটে প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান করা হয়েছে বলে জানান আসিফ নজরুল। আইন উপদেষ্টা বলেন, নো ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে না ভোট হবে। ২০১৪ সালের ভুয়া, সাজানো নির্বাচন যেন না হয়—সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন যে প্রার্থী—পছন্দ না, সেখানে না ভোট দিতে পারবে।

জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে সংশোধিত আরপিও-তে। আগে ভোটের সময় জোটভুক্ত হয়ে জনপ্রিয় বা বড় দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ ছিল। এবার সে সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, নির্বাচনি জোট হলে, জোটের অংশ হলেও দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে; যাতে ভোটাররা ক্লিয়ার আইডিয়া পায় উনি কোন দলের। নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধান আরপিও যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভিাটিং চালু করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধন সেরে ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পাশাপাশি কারা হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা এভাবে ভোট দিতে পারবেন। ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।

রাজনৈতিক দলের অনুদানের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যিনি অনুদান দেবেন, তার ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে। অনিয়ম বন্ধে ইসি প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে—এমন বিধান যুক্ত করার তথ্য দিয়েছেন আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, আগের আইনে বিধান ছিল—কোনো ভোটকেন্দ্রে গণ্ডগোল হলে কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের। এখন ইসি যদি মনে করে একটা নির্বাচনি এলাকাতেই এত অনিয়ম হয়েছে, পুরো এলাকার ভোট বাতিল করা উচিত; তাহলে সেটা করতে পারবে। সে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন