ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের পাশে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারকে ঘিরে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে হত্যা করে মরদেহ খণ্ডিত করার পর তা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরানোর প্রতিটি ধাপ ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত ও সংগঠিত।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে মূল অভিযুক্ত জরেজুল ইসলামের প্রেমিকা শামীমা আক্তার শনির আখড়ার বাসায় একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে আনেন। ধারণা করা হচ্ছে, খণ্ডিত মরদেহ সরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এ যানটি আনা হয়।
এর মাত্র ৯ মিনিট পর, দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে শামীমার বাসা থেকে দু'টি ড্রামে ভরা আশরাফুলের খণ্ডিত মরদেহ সিএনজিতে তুলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে হত্যাকারীরা। ফুটেজে দেখা যায়, এ সময় তাদের আচরণ ছিল অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথার ও সুপরিকল্পিত।
পুলিশ জানায়, ড্রাম বহনকারী সিএনজি রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকার মাজার গেট সংলগ্ন স্থানে পৌঁছে দুপুর ৩টা ১৩ মিনিটে একটি বড় গাছের নিচে দু'টি ড্রাম রেখে যায়। এরপরই সিএনজিটি দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রাম দু'টি উদ্ধার করে এবং মরদেহ শনাক্ত করে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিহত আশরাফুল হকের বোন আনজিরা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় জরেজুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর র্যাব-৩ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জরেজুল ইসলাম ও তার সহযোগী শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।
ব্রেকিং নিউজ, এই মুহূর্তের খবর, প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর, লেটেস্ট নিউজ এবং গুরুত্বপূর্ণ আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন www.bangladeshglobal.com